সেই কবেকার যুগে
একটি সোনালী ভোরকে হেঁটে যেতে দেখেছি,
কুয়াশার ছাদ ফুঁড়ে
আলো ঝলমলে রোদের দেয়ালে
অঙ্কিত হতে দেখেছি
উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের ইতিহাস।

আমি তখন একটি গোলার্ধ অতিক্রম করছিলাম,
আমাকে দিয়েছিলো তার খোঁজ-
যেখানে আলো-আঁধারী রাঙা স্বপ্ন
অস্পষ্ট আলোয় খেলা করে।
কিছু পুরনো দিন
রাত্রির কিনার ধরে আনমনে হাঁটে,
মুষ্টিবদ্ধ হাতে একটি কাস্তের মতো চাঁদ,
আকাঙ্খার কিছু অস্পষ্ট অক্ষর-
অচেনা কোন নগরীর দেয়ালে আঁকা।

অদ্ভুত নিস্তব্ধ আঁধার
অনাগত জীবনের ভয়াতুর শিহরণ,
আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম জীবনের স্রোতে;
কালকের সোনালী ভোর
আর আজকের রাত্রির কিনার ধরে
দ্রুত বেগে হেঁটে যাওয়া মাগরিব দেখলাম।

বার বার তাকাই
ক্লান্তিকর চোখে তাকাই,
তন্ন তন্ন করে দেখি স্বপ্নরা বাড়ি ফেরেনি;
মিলিয়ে আসে একে একে জীবনের স্রোত,
পেছনে পড়ে থাকে
আমারই বাড়ি না ফেরা স্বপ্নের
ভাঙাচোরা আগন্তুক ছায়া!