গত চিঠিতেই তোর চিন্তায়
রূপান্তরের আভাস পেয়েছিলাম আমি।
তোর রৌদ্রবাহী সন্তানেরা
নীডর সাহস বিলি করছে পৃথিবীর শহরে বন্দরে
বর্গীর ভয় ঢুকে গেছে নীভৃত পল্লীতেও আজকাল।
কারণ, তামাদি প্রভুরা প্রাণ পেয়েছে ফের
জুজুবুড়ির নৈশগল্প বলে বলে ছড়াচ্ছে ভীতিকণা;
প্যালেস্টাইনের শরীর থেকে ঝরাচ্ছে অবিরাম রক্ত
ফেরারী আরাকান ক্ষতবিক্ষত শরীরে
মানবতা মাগে প্রাণ ফিরে পাওয়া তামাদি প্রভুদের দুয়ারে।
আটচল্লিশের খুঁটিতে ভর করে কাঁদে কাশ্মীরের ইনসাফ,
ইথিওপিয়ার অনাহারি মুখের আদলে কাঁদে আফগান,
বস্ত্রখণ্ড খুলে উলঙ্গ হয়ে পড়েছে সিরিয়া আর
আরব বসন্তে জন্ম নেয়া অভিশপ্ত জারজের শরীর থেকে।
দোহার ও কর্তাভজরা
ত্রাস ও উদ্বিগ্নতা ঢেলে দেয় জীবন থেকে জীবনে,
সভ্যতার ইচ্ছাধীনতাকে করে চূড়মার
অপমানের গ্লানিতে নিমজ্জিত হয়ে
নিজের আত্মসম্মান বোধ হারিয়ে ফেলে অসহায় পৃথিবী।
সেখানে কৃশদেহ যিশু ছড়ায় বিভাজন আর রোপণ করে অধর্মের বীজ;
অবলীলায় গজিয়ে ওঠে অসাম্যের অলঙ্ঘনীয় দেয়াল।
পৃথিবীর প্রতিটি বদ্ধ দুয়ারে কড়া নেড়ে যাচ্ছে
মার্শাল কবির “প্রগতিশীল যৌগ পৃথিবীর“ আকাঙ্খা;
অথচ বিশ্বব্যাপী,
দরদ উথলানো দেবতারা উস্কে দিচ্ছে দুঃখঘ্রাণ।