চাটা রাজার ছেলে-মেয়ের একটি ছেলে খুব জ্ঞানী
জ্ঞানের বহর ঠিক রাখিতে বেশী বেশী খায় পানি।
রওনা দিলে সদরঘাট
পথ ভুলে যায় বাবুর হাট
মামার বাড়ি ছাড়িয়ে গিয়ে চলে যায় সে সোনারগাঁ।
হিসু দিতে উষ্টা খেয়ে ভেঙ্গে ফেলে একটা পা।
শিকার করতে বন-বাদারে হরিণ-বহিষ মারিবার
পাইক-পেয়াদার বহর নিয়ে যায় সে প্রতি রবিবার
সদাই ফেরে খালি হাতে
গাধা-বিলাই নাই বনেতে
বিজয় আমেজ গায়ে মেখে বাড়ি আসে বীরের বেশ
সেই খুশিতে হপ্তাখানেক থাকে তাহার পুলক রেষ!
অষ্টগুণী রাজার ছেলের গানের গলার জুড়ি নাই
ভাটিয়ালী সুরে কানে তুলো গুঁজে মীর-কানাই
তুলো গুঁজার অপরাধে
বাটি চালান পড়লো কাধে
রাজার পুতের হাসির কর্মে রাজ্যে হাসা চলবে না
হাততালিটা দিতেই হবে চলবে না তো বাহানা।
কাণ্ড একখান হলো এবার রবিবারের শিকারে
খরগোশ একটা ধরা পড়লো দক্ষ হাতের টিগারে
চারিদিকে পড়লো সারা
আনন্দে সব আত্মহারা
রাজ্যব্যাপী নাচন-কুদন শুরু হলো উল্লাসে
রাজা হাসে রানী হাসে ফোঁকলা দাঁতে শ্ব-হাসে।
বাণিজ্যটা বোঝে ভালো, এ-তল্লাটে তার সুনাম
হরিদাসের নামটা কেটে বসিয়ে দেবে নিজের নাম
গোপন প্যাঁচের ওস্তাদিতে
কেউ পারেনা তাহার সাথে
কেল্লা পিসির সল্লা পুঁজি বাণিজ্যে তার পসার বেশ
চাটা রাজার রাজ্যে প্রজার মহা সুখের নাইতো শেষ!