কালের অগ্নিময় সজ্জায়, নিশ্চল স্তব্ধতার
হুলিয়া হাতে, দাঁড়িয়ে আছে এক কদর্য আঁধার।
দিনের দেয়াল ভেঙে খুঁজে ফেরা
রাতের অমরত্ব ঘেরা-
কোন এক অচেনা আর্তনাদ বাজে কানে,
এর কী থাকতে পারে মানে?
জানিনা, কোথাকার কোন পাপের ভীত
ভেঙে গিয়ে ছুটছে দুর্দমনীয় প্লাবনের সঙ্গীত;
স্থিতির বিভ্রম আর কালাতিপাতের বঞ্চনা-
বার বার খুঁজে ফেরে দূরন্ত অতীত!
পাশাপাশি চলমান শূন্যের
সমান্তরাল, স্বতঃস্ফূর্ত মায়ায় জাদুর
কাঁঠির প্রবোধ, আগামীর প্রত্যাশাকে তারুণ্যের
উচ্ছ্বাসে নাচায়, অগ্নিময় বিবর করপুটে
অস্ফুট, বেদনার্ত দীর্ঘশ্বাস হাত বুলায়
নীরব রোদনের পিঠে।
বজ্রের গর্জন বাড়ায় আকাশের ফাটল,
বিষময় ছোবেলের পর ছোবল
নীল শরীরের গায়ে দলা হয়ে বেদনার্ত হতে থাকে শহর,
পায়ে হাঁটা পথ, জীবনের অলি-গলি, নোঙরের বন্দর।
সময়ের গলিত লাশের গন্ধ আর হিমাদ্রির বিভৎস সঞ্চারে
আমি হাঁটতে থাকি, ক্লান্ত হয়ে ক্ষণ গুনি
অজানার, এই বিরান বন্দরে !