যে ডায়েরিতে লিখছি সেই ডায়েরি,
এবং যে কলম দিয়ে লিখছি এই কলম,
দুটোই চুরির মাল!
এই চুরির দায়ভার আমি স্বগর্বে স্বীকার করছি।
আমি স্বীকার করে নিলেও যে স্যারের টেবিল থেকে এই ডায়েরি আর কলম চুরি করেছি,
সে কোন চুরির দায় নিবে না!
হীন,দরিদ্র,গরির, ছোটলোক কিছু চুরি করলে লোকে তাকে চোর বলে। সে অর্থে আমি চোর!
চুরির পরি মান যখন শতক কিংবা হাজারের ঘর ছাপিয়ে,
একের পর দশ, বিশ কিংবা ততোধিক শূন্যের ঘর পেরিয়ে যায় তখন সেই সব ব্যাক্তিকে আমরা সম্মান করে " স্যার" ডাকি!
ডাকব না কেন! এত সংখ্যার হিসেব জানতে শিক্ষিত হতে হয়!
আর শিক্ষিতকে স্যার না ডাকা অসম্মান।
সে অর্থে আমি স্যার নই!
যখন এই ডায়েরি আর কলম চুরি করি তখন আশে পাশে কেউ ছিল না! অন্ধকার ছিল।
খুব গোপনে চুরি করেছিলাম।
তবুও এখন আমি এই চুরির দায়ভার স্বীকার করে নিচ্ছি।
কারন ছোট খাট চোরেরা দায়ভার স্বীকার করে নেয়!
আমি স্বীকার করে নিলেও যে স্যারের টেবিল থেকে এই ডায়েরি আর কলম চুরি করেছি,
সে কোন চুরির দায় নিবে না।
কেন নিবে? যখন স্যার চুরি করছিলেন তখন প্রকাশ্য দিবালোক ছিল! চতুর্দিকে মানুষ! আর স্যার চুরি করেন নাই, স্যার করেছিলেন সাইন!
স্যারের চুরির দায়ভার, স্যার স্বীকার না করলেও
স্যারের টেবিল, আর স্যারের এই কলম দায়ভার নিয়েছে।
এতসব কিছু জেনেও আমি চুপ আছি! কারণ আমার নিজের স্বপ্ন আমি একদিন স্যার হব।
ডায়েরি আর কলম চুরি করেও টেবিল না থাকায় আমি স্যার হতে পারছি না!
কারন কলমে কালি আর টেবিলে জোড় না থাকলে স্যার হওয়া যায় না।
অপেক্ষায় আছি কোন এক শুভক্ষনে স্যারের টেবিলটা মেরে দিব,
শিক্ষিত হয়ে!
৫ ই ফাল্গুন ১৪২৯
ভাসানটেক,ঢাকা