অদ্ভুত এক জলাতঙ্ক রোগে,
আক্রান্ত পুরো শরীর!
প্রচণ্ড পিপাসার্ত,
শহরজুড়ে পানির কমতি, একফোঁটাও নেই।
প্রয়োজন শুধু একটা মাত্র স্পর্শ!
স্পর্শ পেলেই তৃষ্ণা মিটে যাবে!
কিন্তু!
সেই স্পর্শ নেই!
মন শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে,
স্পর্শের তৃষ্ণায় কোষগুলো আধমরা,
হাতের ঠিক কাছেই,
যেন চাইলেই স্পর্শ পাওয়া যাবে,
এখুনি ধরে ফেলা যাবে,
আর ধরা মাত্রই পিয়াস মিটবে,
তবুও!
সেই স্পর্শ নেই!
পুরো শহর চিৎকার করছে!
একটা স্পর্শ চাই, শুধু একটা,
মাত্র একটাই!
শহরজুড়ে কিছুর ক্ষুধা নেই,
একদম নেই!
শুধু এবং শুধুমাত্র স্পর্শের তৃষ্ণা !
তবুও হায়!
সেই স্পর্শ নেই!
স্পর্শের অভাবে,
প্রতিদিন ধীরে, ধীরে, শরীরের,
একটা, একটা, কোষ হারিয়ে যাচ্ছে!
দিনকে দিন প্রতিটা কোষের পিয়াস বাড়ছে!
কেউ ত স্পর্শ করুক!
মনভূমির তেষ্টা মিটাক!
তবুও!
সেই স্পর্শ নেই।
কি এক অদ্ভুত জলাতঙ্ক!
শহরজুড়ে তন্নতন্ন করে খুঁজে,
কোথাও এক ছটাক স্পর্শ নেই!
এক গ্রাম স্পর্শ নেই,
কোথাও এক ফোঁটা, এক বিন্দু স্পর্শ নেই!
শহরের প্রতিটা স্পর্শ জুড়ে শুধুই আতঙ্ক!
স্পর্শে তৃষ্ণার্ত তবুও!
স্পর্শে এক অজানা ভয়!
তবুও ক্ষীন একটা সুর,
স্পর্শ পাব খুব ভোরে!
কিংবা মধ্য দুপুরে,
নাহয় বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যায়!
অথবা মাঝরাত পেরিয়ে যখন,
চাঁদ ঘুমোতে যাবে!