।। চার্লাইন ১৫।।

মেঘ ছুঁয়ে দিলে মন, দুই চোখ ছায়া তুলে রাখে।
আয়না তো সব জানে, বলবে না কণাটুকু তার।
এঁকে রাখা হাসিটুকু, রোদ যেন মেঘ ছেঁড়া ফাঁকে।
ছুঁয়ে দিলে ধারাপাত, নইলে সে জমাট আঁধার।

                  ।। চার্লাইন ১৬।।

জানালা ভ্রমণ জানে, সাক্ষী তার অলস দুপুরও,
ছেঁড়াখোঁড়া ক্লান্তি যে একা হলে তার কাছে আসে।
শিশুমন ডানা ছুঁলে কাছে আসে ফেলে আসা দুরও।
হাওয়ায় সওয়ারি মেঘ, জল জমে শ্রাবণ বাতাসে।

                  ।। চার্লাইন ১৭।।

মেঘের খবর এলে চিঠি খোঁজে যাওয়ার ঠিকানা।
কাগজেরই নৌকো তো, শুধু তার ভিজবার ভয়।
ভেজামন ছেঁড়াখোঁড়া, ভারি হয় মেঘেদের ডানা।
বর্ষা বিরহ ঋতু, ধারাপাত বড় অগ্নিময়।

                 ।। চার্লাইন ১৮।।

বন্ধ্যা মেঘ ক্ষেত্রময় ফেলে গেছে ছায়াটুকু তার।
বোঝে নি জঠরময় কেবলই অনল পোষে, এই সম্বল।
বৃষ্টি কুড়োনি মেয়ে, ঘনশ্যাম মোহে তবু আস্থা অপার,
নিরন্তর অপেক্ষায় খেত জুড়ে বিছিয়েছে ভিখারি আঁচল।

                  ।। চার্লাইন ১৯।।

আঁধার যা ছিল কোণে, মেঘ মোছে, তাকে ডেকে নিও।
হাওয়ারা খবর পেলে, দু'পশলা ঝরে যাবে ঠিক।
ছিটকানো রোদ এলে, তাকে নয় উঠোনটা দিও।
সকালের সাত রঙে রামধনু সেই এঁকে দিক।      
                                (১৬/০৭/২০২৩)