আকাশ ভীষণ রাগ করেছে,
মেঘ কাজলে সাজছে না।
মেঘে মেঘে ঠোকর লেগে
আতশবাজি বাজছে না।
যা দেখে ভয় বৃষ্টি পেত,
কাঁদতো বসে ছড়িয়ে পা।
কিচ্ছুটি তার হচ্ছে নাতো,
পুড়ছে কেবল শরীর গা।

শরীর যখন ঝলসে বেগুন,
বাঁচবে কি আর সঙ্গী মন?
ভীষণ রেগে বললে হেঁকে,
" সেঁকবে আঁচে কতক্ষণ?
কেউ ছুটে যাও উত্তরে আর
কেউ ছুটে যাও দক্ষিণে।
কারণ খোঁজো রাগ কেন তার,
মেঘ তো ভীষণ লক্ষী মেয়ে।"

তাই শুনে সব নালিশ ভুলে
লাগলো সবাই সন্ধানে।
উল্টে দেখে পাল্টে দেখে
মেঘ লুকালো কোনখানে।
শেষে আকাশ বললে," শোনো
মিলবে তাকে কোন দিশে'য়।
ঝলসে মাটি ইঁট করেছো
সেই পাহাড়েই বন্দি সে।"

তাই শুনে যেই ইঁট সরালো
মিললো দেখা, গোমড়া মুখ।
বললে," আমি যাবোই না যাও,
দুষ্টু পাজি তোমরা খুব।"
অনেক ক্লেশে অবশেষে
ভিজলো যখন মেঘের মন,
বললে," কথা শুনতে পারি
শুনবে আমায় যতক্ষণ।"

" ভরিয়ে দেব পুকুর ডোবা,
নদনদী যা শুকিয়ে কাঠ।
দশটা দালান তুললে দিও
একটা পুকুর একটা মাঠ।
দেখবে আবার ঢাকবো আকাশ,
টানবো চোখে ঝিলিক সাজ।
কেবল হাজার ইঁটের দামে
সবুজ রেখো একটি গাছ।"

মেঘের বুকেই বৃষ্টি ছিল,
শুনছিল সব চুপ করে।
বললে সেও," হক কথা তো,
রাখলে যাবো টুপ করে।
শুনবে যেদিন বুঝবে যেদিন
শুধবে যেদিন মাটির ঋণ,
দেখবে আকাশ ঝরছে অঝোর,
ভিজছে বেবাক দগ্ধ দিন।"

দেখছে এবং শুনছে তবু,
মনের আঁধার কাটছে না।
ভুলের মাশুল ভুগছে তবু
ঠিক পথে কেউ হাঁটছে না।
          (১৭/০৬/২০২৩)