আজগুবি কথা নয়, রূপকথা সত্য।
ভুত বা অসুর বলো রাক্ষস, দৈত্য
মিছে নয়, সব আছে এখানেই ছড়িয়ে।
চেনা বড় দুষ্কর সাথে আছে জড়িয়ে।

গাঁয়ে বা গঞ্জে বলো পাড়ায় বা শহরে,
দিনে দিনে বাড়ছেই সংখ্যার বহরে।
মাঠে আছে ঘাটে আছে সরকারি আপিসে,
হিসেবের বইয়ে আছে সংখ্যার হাফিশে।

কেন হে নাড়ছো মাথা, একদম সত্যি,
চিনলে দেখবে নয় মিছে একরত্তি।
ভুতের কথাই ধরো, রোজ দেখি এনাদের,
সরকরি কম্মোর ফিরিস্তি ফেনাতেই।

রকমারি কার্ডে ধরো, ভোটার বা রেশনের,
ভুতেরা দিব্যি আছে, বললেও কে শোনে।
জব কার্ড, ত্রিপল বা আবাসের লিস্টে,
কোথায় আছেন আরো লিখলে তো দিস্তে।

ভুত ছেড়ে আসি যদি রাক্ষসে অসুরে,
কতশত কাণ্ড যে রোজ দিনে দুপুরে
ঘটছে শহর জুড়ে, জেলা গাঁয়ে গঞ্জে।
বিভৎস ক্রুরতায় কেঁপে যায় মন যে।

ধানক্ষেতে আলপথে আধপোড়া স্ত্রী-শরীর,
অ্যসিডে দগ্ধ করে কোমলতা কিশোরীর
জ্যান্ত ছিঁড়ছে দেহ, হাড়হিম দৃশ্যে।
কোথায় লুকোবে মুখ, হে দেশ এ বিশ্বে?

খুন রাহাজানি আদি রোজ ছাপে কলমে,
ঢাকতে চেয়েছে কেউ তদন্ত মলমে।
কুমির ভাসায় দাড়ি অশ্রুর বন্যায়,
সাক্ষী দিল্লি আছে, কামদুনি কন্যায়।

দৈত্য দানোয় বা কম কিসে নিত্য,
দাপিয়ে বেড়ায় এরা, ত্রাসে কাঁপে চিত্ত।
কোথাওবা তলে তলে, কোথাও প্রকাশ্যে,
যুদ্ধ দানব মাতে উন্মাদ হাস্যে।

এই তো লেগেছে দেখো কি তুমুল কাজিয়া,
ইসরাইল-হামাস বা ইউক্রেন-রাশিয়ায়।
সেসব ধ্বংসলীলা দেখতে তো জানতে,
শান্তির বুলি সব বুজরুকি, মানতে।

আবার জেহাদ হেঁকে কেউ মাতে কোতলে।
রেখেছে সে পরমাণু দৈত্যকে বোতলে,
চাইলেই ছিপি খুলে ছেড়ে দেবে, হুমকি।
কে বোঝাবে? থামবে এই  যুদ্ধের ধুম কি ?

জাগলে মানুষই পারে, ভাঙবে সেই ঘুম কি?
                              (২৯/১০/২০২৩)