(৮)
নেহাতই তুচ্ছজন, সম্বল হাতেগোনা শব্দমালা কিছু।
এধার ওধার করে সুরে সুরে বাঁধি শুধু। আর যা এলেম
বলতে মুঠোয় ধরি, যখন যা হাওয়ারঙ ধাওয়া ক'রে পিছু।
আসলে তো ফেরিওয়ালা, সস্তায় ফেরি করি বিরহ বা প্রেম।

                          (৯)
আবডাল বর্জনীয়, ভালোবাসা সন্ধানী চোখ;
যদি দৃঢ় তার ভিত, ছোঁবে ঠিক সমস্ত বোতাম।
অধিকার প্রশ্নাতীত, মিছে ঢাকো আদৃত শোক;
সে দেরাজ খোলো যদি, আমি তারও বন্ধু হ'তাম।
                                          
                          (১০)
ফেরার টিকিট বুকপকেটে, তারিখটুকুই আবছা।
ভালোবাসা জানেও, তবু জানাই যদি ঝাপসা-
দৃষ্টিপথে মায়ার কাজল, বৃষ্টি বেয়ে নামছে।
সকাল দুপুর গড়িয়ে বিকেল, সন্ধ্যে ক্রমেই টানছে।

                           (১১)
সন্ধ্যে এইখানে নেমেছে এই হলো কিছুক্ষন।
পাখিরা ফিরে গেছে যে যার চেনা পথে যেমন যায়।
পুরোনো এ পাড়ায় রৌদ্র ঢোকে না আর তেমন।
দেরাজ হাতড়িয়ে যে টুকু জমা পুঁজি, দীপ জ্বালায়।

                            (১২)
আড়াল যতো না ঢাকে খুলে দেয় তার চেয়ে ঢের,
বেলাগাম বার্তা হোক, সে আলোকে পোক্ত হয় সাঁকো।
গোপনে যা কিছু থাকে সে ঘুণেই জন্ম আঁধারের,
সে তার পাড়ায় আর তুমি তাই এ পাড়ায় থাকো।

                           (১৩)
জমানো কথা কিছু লিখেছি অক্লেশে, পড়ে নিও।
সবেরই শেষ থাকে আশা বা হতাশারও, নতুন নয়।
যে আলো ফিরে গেছে তেমন ভুল কিছু করেনি ও,
শুকনো নদীপথে নৌকো বায় শুধু স্বপ্নময়।

                           (১৪)
কথার জটে জট পাকিয়ে আটকে আছে ভ্রমে,
পাহাড় কবে না করেছে সাগরসঙ্গমে?
একটা চিঠি একটু আগুন পৌঁছে দিত যদি,
বরফচুড়ো সূর্য ছুঁয়ে গড়িয়ে হতো নদী।