সে নীল আকাশের কথা বলতো,
শুভ্র সাদা মেঘের কথা বলতো,
তার একটি নদী আর মনের কথা বলতে চেয়েছিল।
তার বাড়ির সামনে দিয়ে বহমান নদীর কথা বলতে চেয়েছিল।
সে ফসলের কথা বলতো, ফুলের কথা বলতো, ফলের কথা বলতো আর বীজের।
আমি মন দিয়ে তার সব কথা শুনতাম,
আমার একটা জমিন নিজের মত করে পাওয়ার ইচ্ছা হতো, সে জমিনে বীজ থেকে ফুল, ফুল থেকে ফল, এমনই মোহনীয় স্বপ্ন দেখাতাম তাকে বারবার।
এরপর সে আমাকে নদী দেখিয়েছিল, আমি সাঁতরিয়েছিলাম
সে বারবার তার মনের কথা আর ভালোবাসার নদীর কথা বলতো।

আমি আবার নদীতে নৌকা ভাসিয়েছিলাম,
আমাকে বেনি দুলিয়ে দুলিয়ে আরেকজন ভালোবাসার কথা বলেছিল।
কতগুলো শকুন নদীতে ভেসে ওঠা এক রক্ত মাংসের দলাকে নিজেদের মতো করে খাবলা-খাবলি করে খাওয়ার চেষ্টা করছিল।
বেনী দুলিয়ে দুলিয়ে সে আমাকে এক অসতির কথা বলেছিল,
তার দু'টি বেণীতে আমি রজনীগন্ধার সুবাস পেয়েছিলাম,
আমি তাকে স্বপ্ন দেখাতাম- রঙিন স্বপ্ন, নীল আকাশের স্বপ্ন, চাঁদের স্বপ্ন, তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘের ভেলায় উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
সে অবাক হতো, সে তার পাখা মেলে দিত, আমি তার আলিঙ্গনের জন্য হাটবারে যেতাম, কিনেছি কত কত রঙিন প্রসাধন।
সে পুলকিত হতো, তার মুখমণ্ডলে লাল আভা ছড়াতো, সে লজ্জা পেতো।
সেই বহতা নদীর তীরে আমি অনেক শকুন দেখতাম প্রতিনিয়ত,
আমি মনে হয় শেষমেষ মানুষ হতে চেয়েছিলাম, কাউকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম।

#গদ্যকবিতা