ও আঁখি যতন করে
রেখেছো কি কাজল দিয়ে?
আমি এখন জলসা ঘরে
নুপুরের ও পায়ে পায়ে
ভাবছি কি তোমার চোখে’র
পাপড়িতে ছন্দ খেলে।
তোমার ঐ জোড়া আখিঁ
কেন এমন নিরবধি,
হৃদয় মাঝে দোলায় নদী
সর্বনাশে ডোবে মাঝি।
ভরা ওই বাদল দিনে
ভাসিও না কাজল তোমার
ওই আঁখির জলে,
শ্রাবণ হয়ে ভাসবো আমি
না হয় দূরের কোন গায়ে।
তবু তুমি রেখো কাজল
ভালোবেসে যতন করে।
তৃষ্ণা মেটে না এ হৃদয়ে
করে পান গহীন কুয়ো’র জলে,
তবু কেন এমন তরো, তোমার ঐ-
আখিঁর চাউনিতে জনম যে গেল!