এক ফোঁটা বৃষ্টি উজ্জীবিত করে হৃদয়কে
যেন ঘুমন্ত দেহ সজীব হয় প্রেয়সীর খোঁজে।
এক ঋতু’র বছর পরিক্রমায় প্রাণের স্পন্দনে
একটি লাল টিপ, দূরবর্তী কাঁকনের শব্দ-
মাধবপুর লেকের ধার! জলজ পদ্মের আবাস
চারিদিকের টিলার শুনশান বয়ে যাওয়া হাওয়া।
অনমনা প্রেম! চা বাগানের সারি সারি গুপ্তপথ
সাদা- লাল -নীল গাঢ় কোন রঙের শাড়ির ভাঁজ,
নুপুর পরা নগ্ন-পায়ে আলতা, বাতাস শশিনী
রেইনট্রির ফাঁক গলে জ্যোৎস্না বিলাস-
শুভ্র সাদা শাড়ির ভাঁজে -ভাঁজে অসহনীয়
বর্ষার পানি, একটা লাল টিপ চন্দ্রের আলো
অপার্থিব ঝংকার; বৃষ্টি নুপুর-কাঁকন-লাল ঠোঁট,
প্রতি বর্ষায় আলো -আঁধারে মায়ার ডাক
একজন নারী! নাকি প্রেয়সী?
নাকি আলো -আঁধারের ছায়া,
মালিনী? চন্দ্রালোক, লাল টিপ সাদা শাড়ি
গুচ্ছ অন্ধকার পুরুষ বক্ষ লোমশ ইন্দ্রিয়,
কামনায় প্রেম, চা বাগান- দুটি পাতা একটি কুঁড়ি
অঝোর বৃষ্টি অদৃশ্য অন্ধকার, লাল টিপ-
সাদা শাড়ি প্রেয়সীর প্রসারিত হাতছানি
একজন পুরুষ, মাধবপুর লেক জল পদ্ম।
টিলার ধার ঘেঁষে নিথর দেহ-
এক ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়ায় আবার জেগে ওঠা।
একটি লাল টিপ, সাদা শাড়ি-হাতে কাঁকন,
নগ্ন-পায়ে নুপুরের ঝংকার, আলতা ভালোবাসার
এক পশলা বৃষ্টি, একটি পুরুষ একটি নারী না-
পাওয়ার বেদনা, একটা প্রেম আলিঙ্গনহীন সারাজীবন।
প্রতি বর্ষায় না পাওয়া ভালোবাসা-অজানা তিতিক্ষায়,
রাত গভীর দু’টি ফেরারি আত্মা, অনন্ত বর্ষায় শুধু চেয়ে থাকা!
একটি পুরুষ! একটি নারীর অপেক্ষায় জেগে উঠে-
প্রতি বর্ষায়, চন্দ্রালোকের আলো-আঁধারির ছায়ায়।
দেখবে আবার কখন সেই সাদা শাড়ি-লাল টিপ, ভেজা দেহ।
মিলনহীন নিথর দেহপিঞ্জরে আগামী বর্ষার অপেক্ষায়!