বুকের মাঝে তক্ষশীলায় এক খন্ড মন
আঁকিয়ে করেছো এলোমেলো
এত রংয়ের বর্ণচ্ছটায়, দ্বিধায় খুজিঁ-
ক্ষণে ক্ষণে ভালবাসার রং বেরং।
সাদা পেড়ে শাড়িতে লাল টিপ অথবা
আকাশী শাড়িতে বেগুনী’র কম্বিনেশন
বলতে যেয়েও থমকে যাই!
ঝামটা দিয়ে বলবে হয়তো-
বোঝ না তো ভালোবাসা কারে কয়!
রং-ই যদি না চিনলে! বৈশাখের লাল!
শুধু কি কৃষ্ণচূড়ায়? মনের রং-
সে তো গাঢ় থেকে গাঢ়তর
লাল-নীল-পীতবর্ণিল-গাঢ় সবুজ-অন্ধকার কালো
বললে- আকাশ থেকে জেনে নিও না হয় প্রতিদিন।
হাতের চুড়ি দিলাম তোমায় রামধনু কম্বিনেশনে
ঝামটা দিয়ে বললে- রং চেনো না এখনো?
চুড়ির গোছ ফিরিয়ে নিতে, কেড়ে নিয়ে-
রাখলে ব্যাগে, থাক- কিনেছ যখন।
সেদিন খেয়া ঘাটের নৌকায় ভাসছি নদীর বুকে
হঠাৎ মেঘে ছেয়ে গেল কালো রঙে,
দূরবর্তী বাজ পড়ার শব্দে ভীতু তুমি হঠাৎ দিলে ঝাঁপ-
আমার বুকে! শুধু আস্তে করে বলেছি- ভালোবাসার রং চেনো?
তুমি কেবল বিহ্বল চোখে বাঁচতে চেয়ছো আমায় নিয়ে,
সেদিন জেনেছি, পুরুষের বৈপরীত্যই নারীর প্রেম!
------ আমিনুর রহমান লিটন
তক্ষশীলাঃ প্রস্তর কেটে যে নগরী নির্মিত- রূপকার্থে নিয়েছি।