রাত- নির্ঘুম, নিশ্চুপ, বিষন্ন। যেন
আমার প্রেমিকার স্বপ্ন বিলাসী দুটি চোখ
কিংবা তার চোখের তারায় জ্বলে ওঠা
কোন প্রেমের অন্ধকার ঘন মৃত্যু।
রাতের তারাগুলো শহরের বড় বড়
উঁচু উঁচু ছাদ বেয়ে উপরে উঠছে;
তাদের চোখে আমার প্রেমিকার
ঘুম জড়ানো স্বপ্ন।
নিয়ন আলোর নিচে,
দেয়ালের সাথে, রাস্তার পাশে
পরে থাকা ময়লা (যা ভোরে
মিউনিসিপ্যালিটির গাড়ি বহন করবে)
তার মাঝে হন্যে হয়ে খাবার খুঁজছে
রোমান্টিসিজম এর সকল কবিতা গুচ্ছের মত
একদল জীর্ণ নেড়ি কুকুর।
একটু দূরে,
গণভবনের বিপরীতে, ছেঁড়া কাঁথা
জড়ায়ে শুয়ে থাকা লোকটি;
গাঁজার নেশায় ভরপুর হয়ে
লাখ টাকার ঘুমের আস্বাদ
গ্রহণ করছে। চোখে যার
উর্বশীরা নগ্ন নৃত্য করে চলে,
ঐ ঘুম, স্বপ্ন
এরা তার একান্ত নিজের, নিজস্ব।
এই কপর্দকহীন নেশাখোর
টাকার বিনিময়ে তার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ
বিক্রিতে প্রস্তুত।
কিন্তু শুনে দেখো, সে
তার এই ঘুমে জড়ানো স্বপ্ন
কাউকে দেবে না, যেমন আমার
প্রেমিকাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন
একান্ত আমার, একান্ত কাব্যিক।
রাস্তা থেকে একটু হেঁটে, পিছে
জিয়া উদ্যানে আমারই বোন
পেটের ক্ষুধায় মানুষরুপী কিছু পশুর নিকট
বিক্রি করছে তার কাব্য, তার সৌন্দর্য।
সে তার মুখে পুরছে, চুষছে
শিয়াল কুকুরের লকলকে কালো সাপের মত লিঙ্গ
হাসছে, শীৎকার দিচ্ছে
তার শীৎকার আর ক্ষুধার হাহাকার
গণতন্ত্রের ঐ সংসদ কে কাঁপিয়ে
প্রতি রাতে আমার ঘুম ভাঙ্গায়
এই দৃশ্য কল্প আমার প্রেমিকার
মাসিকে রক্তের দুর্গন্ধের মতন
আমায় পালাতে হয়, বারবার।
আমি ভুলে যাই, আমি পুরুষ; বরং
আমি লজ্জা পাই, কারণ
আমি জন্মেছি -মানুষ।