বলব, বলে-যে অমৃত বাণী,
পায়নি সে-সুর হয়নি প্রকাশ,
বুক বেঁধেছিনু অনেক আশায়
কত প্রশান্তি, মধুমাখা তায়,
আনন্দ আর উচ্ছলতায়
সিক্ত হতে চেয়েছি।
আমি সানাইয়ের সুর স্তব্ধ করে
চাঁদের পানে চেয়েছি,
আর, ঝরনা ধারায় শিউলি মালা-
যতনে ভাসিয়ে দিয়েছি।
আমি সিনদাবাদের মতো ভয়াল,
উত্তাল সাগরে ভেসেছি, আর
অজানা দ্বীপে নোঙ্গর করে,
ভূমিতে কানটি পেতেছি।
আমি ভিসুভিয়াস অগ্নিগিরিতে
সহসা দগ্ধ হয়েছি,
আর, বাতাসের পানে নিরব হয়ে,
মনোযোগ দিয়ে রয়েছি।
আমি সুনামির ঝড়ে সাগরের নীল,
কাল হয়ে যেতে দেখেছি।
তবু ডোবে যেতে যেতে একবার শুধু,
বার বার শুনতে চেয়েছি।
আমি ভূমিকম্পে ঘুরপাক খেয়ে
কঠিন আঘাত পেয়েছি, তবু
নেশারঘোরে তন্ময় হয়ে,
কথাটি জানতে চেয়েছি।
যুদ্ধে বিজয় পেয়েও আমি
আবার হেরে-যে গিয়েছি,
প্রদীপ জ্বেলেছি-নিভেছি, আর
সারা রাত বসে ভেবেছি।
তুমি বলবে...আমি...শুনব..সেই... প্রতিক্ষিত...বাণী...
হয়তো সেদিন বলবে,
আমি নিশ্চিত তুমি বলবে,
যেদিন -
নীলাকাশ ফুড়ে হিমালয় চুড়ে,
বিন্দু বিন্দু গলবে।
বজ্রনিনাদে আকাশ বাতাস
একাকার হয়ে দোলবে।
তুমি বলবে, ঠিকই বলবে।
...সে দিন হয়ত আমায় পাবে না,
অন্তর শুধু জ্বলবে।
আর, আঁখির গভীরে অশ্রুধারা
টলমল করে টলবে।