হে স্বর্গের অপ্সরী-
দগ্ধ দুপুরে তপ্ত হাওয়ায়,
শান্তির বাণী শুনালে আমায়,
শ্রান্তি বিহীন বৃষ্টিকণায়,
ষোড়শী শ্রাবন্তিকা ।
অঞ্জলি তব পুষ্পে ঢাকি,
মধুচন্দ্রিমা অঙ্গে মাখি,
তারকার জ্যোতি তব নীল-আঁখি,
হানিলে অবন্তিকা ।
তব হাতে যবে বাজে কঙ্কন,
থেমে যায় মোর হৃদ-স্পন্দন,
রসালো ঠোঁটে হাঁসি অঙ্কন,
নাশিনী মানবিকা ।
কত মধুময়ছিল ভাললাগা
সহসা হারায়ে রিক্ত অভাগা,
বিনামেঘে বলি বজ্রদাগা,
প্রণয়ের প্রহেলিকা...
যেন তৃষ্ণাতুর পর্বতমালা,
গিরিখাতে বারি প্রবাহ বেলা,
জ্বালামুখে লাভা বর্ষণ লীলা,
বিস্বাদের যবনিকা !
মধুমক্ষিকা তৃষিত পরাগ,
কণ্ঠে দরদ মাখা অনুরাগ,
বিরহী হৃদয়ে নেইকো বিরাগ
...নিদারুন কুহেলিকা !
হে প্রিয়, আজও নিভৃতে জপি,
জেনো, তব নাম –এ হৃদয় ব্যাপী,
কভু ইতিমানা ভাগ্যলিপি-
কম্রিত কিন্নরিকা ?
--------------------
* কম্র>কম্রিত = কাম্য
* কিন্নর>কিন্নরিকা = চাঁদের কণা