বিজ্ঞান বলে হৃদয়ের মাঝে
দুটি অলিন্দ ও দুটি নিলয়,
চার প্রকোষ্ঠে শত ব্যঞ্জনা
ভালবাসা সখী তারে কি কয় ?
প্রেয়সীর সাথে আলাপচারিতা
মনের চাতুরি যায়না বুঝা,
মন হৃদয়ে নাকি ডি.এন.-এ
খুঁজে পাওয়া কি এতই সোজা ?
হৃদয় কখনো কষ্টি পাথরে
চেক করে কেও বলেনা বেস্ট,
মাপা হয়নিকো এর খরতা
ল্যাবে কভু তাঁর লিটমাস টেস্ট।
প্রিয়াকর্ষণ – মহাকর্ষে,
রয় ক্রিয়াশীল হৃদয় পানে,
দেহ কোষ যত অভিকর্ষে,
ওয়েবার হয়ে কেন্দ্রে টানে।
প্রিয়া ভেদে হিয়া সরল কোণে,
কখনো বা চ্ছেদে উলম্ভে।
তাঁর বিচ্ছেদে প্রাণ চলে যায়,
সে হাসে যেন মহাদম্ভে।
পেন্ডুলামের দোলায় দুলিয়ে
কেন্দ্রে হতে দেয়না স্থির,
রসায়নিত রক্ত কণিকা
তার প্রতি হয়ে উঠে অধীর।
তার মুখচ্ছবি পীত বিন্দুতে
সারাক্ষণ যেন লেপটে থাকে,
তাঁর মধুর ঐ হাঁসিচ্ছটা
প্রিজমের সাতরঙে আঁকে।
তার রচিত শব্দমালা
তরঙ্গ রূপে রঙ্গিত,
শিহরিত রয় স্নায়ুতন্ত্র
চনমনে হয়ে চমকিত।
মন্দন যবে জীবনে ত্বরণে
ভরবেগ নিয়ে আসে ধেয়ে,
ভাবাবেগে পাশে, রবে বলে ভাগে
ভাঙ্গা লিভারের কিলক লয়ে।
আয়নিত দুটি হৃদয়ের বন্ড
বিরহ ক্রিয়ার পোলারনে,
অরবিট গড়ে ওজোনস্থরে
বিজারিত নব ই‘লেকট্রনে।
তুমি ছাড়া কেও পাবেনা আমায়
দার্শনিকের মতো বলে,
সময় কিন্তু সমবেগে বাঁধা
গতিসূত্রের নিয়ম কলে।
আমার জীবনে সাড়া রাত দিন,
পড়েছি কতনা থিওরি।
যে প্রনয়-রোগ হানিছে প্রলয়,
মিটেনি আজো সে কিওরি।
প্রেমের কঠিন বিষবৃক্ষের
বৃথা সালোক-সংশ্লেষে,
ধুধুময় আর মরীচিকে ঢাকা
মরুপ্রান্তর উল্লাসে।
হৃদয় কেবলি হৃদপিণ্ড
মন জেগে রয় মস্তকে,
প্রনয় শুধু মিছে অনভুতি
কবিতায় ভরা পুস্তকে।
বিজ্ঞান সে যে অজ্ঞান করা
রাশভারী সব রাশিতে,
প্রীতি ও প্রণয় বেঁচে রয় তবু
বিরল বিরহী বাঁশীতে।