এরকম আরও অজস্র
চৈত্রের তীব্র দুপুর আসবে পৃথিবীতে!
খরতাপে আঙ্গার হবে সবুজ পাহাড়ের পথ;
সমতট জনপদের মারাত্মক তীব্র শুষ্কবাহিত
রোগ হবে রিক্ত ফসলের মাঠ! ফসলশূন্যতায়
পাহাড়িরা হবে আদিম অভিশপ্ত নির্মম ভিখারি!
শুকিয়ে যাবে বৃষ্টিবহুল মেঘমালার আকন্ঠ দাগ।
বৃষ্টি হবে প্রাচীন আকাশের এক বাজেয়াপ্ত অতীত;
জলের তৃষ্ণায় মাটি হবে ধু-ধু আগুনআশ্রিত কারবালা।

তারপর?
তারপর একদিন হঠাৎ -
বাতাসের ঝাপটায় সুপারসনিক গতিবিদ্ধ
অনেকগুলো রংচটা জানালা খুলে যাবে নির্দ্বিধায়!
হিম শীতল হবে প্রাণোচ্ছল স্নিগ্ধ পাহাড়ের পথঘাট,
বৃষ্টিতে ভিজবে নদী-নালা খালবিল পার্বত্য অঞ্চল।
ফসলের মাঠে মাঠে সোনালী আউশধানের ফসল
দুলবে ঊর্মিমালার অববাহিকায়। ঝুমবৃষ্টিতে
জুমচাষ হবে উঁচু নিচু ঢালু পথে পথে। যৌবনদীপ্ত
রূপ ফিরে পাবে পাহাড়ের গায়ে আবিষ্কৃত সুপ্রাচীন
সকল শুষ্ক নীল জলপ্রপাত। সাদা শাড়ির আঁচলে -
ঝিরি ঝরনার মতো গড়িয়ে পড়বে পাহাড়ি মায়ের
আনন্দকান্নার জল! সমুদ্র আছড়ে পড়বে মহাসাগরে!

এ যেন আমি এক বর্ষাকালীন ঝঞ্ঝাট সমুদ্র;
আর তুমি মহাসাগরীয় কোমল গ্রীষ্মমন্ডল!
ডাহুক ডাকা সে পাহাড়ি পথের এক অস্তাচলে,
পাহাড় ভ্রমণে গিয়ে জলবায়ুর তৃষ্ণার মতো আমরা
পরস্পর নিজেদের দেখার মহাসমুদ্র তৃষ্ণা নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকবো নৈঃশব্দ্যকাল! অথবা শুনবো
পাহাড়ি পথে মেঘের মিছিলে শান্ত ঝরনার গান!