পথের শিশু ছোট্ট প্রাণ ধুলোমাখা ছোট্ট শরীর
জ্বলজ্বল ক্ষুধার দুটি চোখ তোমার দিকে তাকিয়ে,
চোখ তোমার পড়লো যেই, ছেলের মুখে মিষ্টি হাসি, জমে যেন ক্ষীর
আর অমনি তুমি মুখটি দিলে বাঁকিয়ে;
ভাবলে তুমি, কে হয় তোমার?
তবু যেন একটা প্রাণের স্পন্দন, শিশুমুখে সারল্য
তোমায় একটা মুহূর্তের জন্য থামিয়ে দিলো-
হাতব্যাগে তোমার মোবাইল ফোন আর
চকচকে দুটো একশো টাকার নোট
একটা কিছু কিনে দিতে চাইলে,
ছোট্ট ছেলেটার নড়ছে দুটো ঠোঁট;
কী যেন বলছে, তুমি শুনতে পেলেনা মোটে,
তুমি যে বন্ধুর বাড়িতে যাবে
খাওয়া-দাওয়া, জমিয়ে আড্ডা,
মাত্র একটা বাসের অপেক্ষা
বন্ধুকে একটা ছোট্ট উপহার কিনে দেবে
এসব কিছু ছোট্ট ছেলেটার কথা নিমেষে ভুলিয়ে দিলো, হায়!
ছেলেটা এখনো তোমার দিকে তাকিয়ে,
আধো আধো কথায় বলতে চাইলো দিদি,দিদ্... দি
বাসটা চলে এলো,
পৃথিবীতে এমন কত্ত মানুষ, প্রাণটুকুই যা সম্বল
সবাইকে কি সাহায্য করা সম্ভব?
মানবিকতার তীব্র উপহাস করে বাসে তুমি
উঠতে চাইলে... দু পা এগোলে যেই,
কচি আঙুলগুলো আটকে দিলো তোমায়,
ছোট্ট শিশুর চোখ থেকে গড়াচ্ছে জল
সংবরণ করতে পারলেনা আর নিজেকে,
নীচে ঝুঁকে জড়িয়ে ধরলে নাম না জানা শিশুটিকে
মুছে দিলে ওর চোখের জল;
একটা জামা কিনে দিলে, আর দিলে কেক, মিষ্টি, শুকনো কিছু খাবার
ছোট্ট ছেলে বড্ড খুশি, মুখে আনন্দের মিষ্টি হাসি;
আর কিছুক্ষণ পর!
তুমিতো তোমার নিজের বাড়িতে যাবে ফিরে,
বাচ্চা ছেলেটা আবার একা হয়ে যাবে
তারপর?
তারপর?
ঠিকানা নাম না জানা পথ।।