পাখীটা নীলাক্ত মনে, বেড়ায় উড়ে
দিগ্বিদিক শূন্য বাতাসে, নীড় ছেড়ে
পাখীটা বেড়ায় উড়ে, আহা!
পিছনে ফেলে রাখে খড়কুটো
বাসা বানানোর আর যত উপকরণ
তার, একটু একটু করে জমিয়েছিল
ভালবেসে, সব ছেড়ে যায় দূরে
তেপান্তরের ধু ধু মাঠ পেরিয়ে।
একদিন কত কথা, তান, অভিমান
জোড়ার সাথে খুনসুটি তার;
শাবক এসেছিল ছোট্ট ঘরে,
তুলতুলে পাখা, সরু সুতোর মত পা,
সতেজ কোমল চাউনিতে
মায়াভরা চোখে দেখত মায়ের মুখ।
সে সব হয়েছে অতীত বাসি।
শূন্য হাহাকার সেই বাসা।

আহা! পাখীটা বেড়ায় উড়ে
ঠিকানাবিহীন অসীমের পানে ধেয়ে।
বাসাটা জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়।
তারপর একদিন কাঠুরে এসে
কঠিন কুঠার হাতে, বাসাটা  
সমূলে উপড়ে ফেলে, বৃক্ষসমেত;
যেখানে পাখীর গল্প হয়েছিল রচিত,
তার একচিলতে চিহ্নমাত্র বাসাটা;
পৃথিবীর বুক থেকে যায় হারিয়ে
নির্দয়ভাবে, সময়ের প্রবল স্রোতে।

(২১শে জুন ২০২৩, ৭ই আষাঢ় ১৪৩০)