সন্ধ্যের লালিমার পর, বেগুণী, গাঢ় নীলের শেডে,
ধীরে ধীরে রাত্রি আসে।
তখন বড়ো গাছের চূড়াগুলো আলাদা করে দেখা যায় না।
চোখের পাতা গুলো একে একে বুজতে থাকে।
শুরু হয় স্বপ্নবিভোরতার সময়।
সেই সময়টাই আমার কাজের আরম্ভলগ্ন,
কাজ স্বপ্ন আগলে রাখার,
আমি এক পাহারাদার।
রুজি রোজগারের দায়ে,
রাত্রির সাথে সখ্যতা।
তায় বা মন্দ কি!
পেয়েছি মূল্যবান নীরবতা।
দরজার কড়ায় নজর রাখলেই, তোমরা সুখী হও,
রাতের অন্ধকারে তোমরা ভীত, মনেরটা তে নও?
তোমাদের সাতরঙা স্বপ্ন দেখার প্রত্যয়ে, আমার আবির্ভাব।
রাতভোরের ধূসরপর্দা সরিয়ে যখন আমি,
শুকতারাকে অভিনন্দন জানাই,
তোমাদের মন তখন,রূপকথার নগরে, ভ্রমণরত।
আমি নিজেকে নিজে জেগে থাকতে অনুরোধ করি, 'জাগতে রহো'...
কারণ আমি তো আসলে স্বপ্নের পাহারাদার।