মাধবী যা চেয়েছিলো
হিমাংশু বুঝতে পারেনি কখনো।
সে সরে গেছে মেঘের হয়ে
হাওয়াদের ধাক্কায়।
মাধবী চেয়েছিলো
ফুল হয়ে ফুটবে সে
হিমাংশুর আলো ছায়ায়।
হিমাংশু বুঝতে পারে নি,
কেন ঝড়ের রাতে মাধবী
নিজের গায়ে সুগন্ধি মাখতো।
সে ভাবতো
মাধবীর যদি আঘাত লাগে
ঝড়কে খুব ভয় করতো সে।
মাধবী চেয়েছিলো
একফালি আকাশ বারান্দায়
চোখে চোখে তাকিয়ে থেকে
হিমাংশু আর সে ঘুমোবে রাতভোর পর্যন্ত।
হিমাংশু তাকে এনে দিয়েছিলো তারাদের ওড়না।
মাধবী যা চেয়েছিলো,
তার চেয়েও বেশী চেয়েছিলো হিমাংশু কে।
তাই দূরে চলে গেছে সে।
শত না বোঝার, বোঝা নামিয়ে।
তবু হাতছানি দেয়
কোনো জ্যোৎস্না রাতে।
ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে, কুশলতা জানায়।
কখনো বা আনমনে হিমাংশু তাকে ছুঁয়ে দিলে
মাধবী গোলাপী হয়ে যায়।
কিন্তু মাধবী যা চেয়েছিলো,
হিমাংশু তা আজও বোঝেনি।