সুহাস পছন্দ করতো,
হালকা আকাশ রঙের শাড়ি,
আর গোধূলির সূর্য রঙা টিপ।
আজ ও কি সুহাসের হাসি
সাত বছর আগের মতো?
এই রকমই
ভাবনা নিয়ে, নমিতার সারাটা দিন
কেটে বিকেল হয়।
সেই রেস্তোরাঁয়,
যেখানে একদিন হাত ধরে,
সুহাস বলেছিল,
"তোর সঙ্গেই থাকতে ইচ্ছে করে
নমিতা!"
বাবা মা এর বাধ্য মেয়ে সেদিন
বলেছিল, 'কোনোদিন সম্ভব নয়'।
আজ তবে কেন তার মন জাল বুনছে অসম্ভবের?
চমক ভাঙ্গতে দেখে সে,
তার সামনে বসে,
সুহাস আর এক মহিলা।
সুহাস বলে, 'ইলা, বলেছিলাম না তোমায়,
নমিতা ভারী সুন্দরী'
পরিচয়ে জানতে পারে,ইলা,সুহাসের সহধর্মিনী।
মন টা একটু কেমন করে ওঠে নমিতার,
আকাশ-কুসুম কল্পনা গুলোর বাষ্পায়ন শুরু হয়।
কিন্তু সামনে বসা দম্পতির কথায়, ব্যবহারে ধীরে ধীরে সে বাষ্প হয় উদ্বায়ী ।
কিছুটা আশ্চর্য্যও হয়,
'কই, তার বিয়ের ব্যপারে একটাও প্রশ্ন করল না তো কেউ?'
সে নিমন্ত্রণ পায়,সুহাসের বাড়ি যাওয়ার।
ইলার সামনেই সুহাস আবারও হাত ধরে নমিতার।
বলে,'অতীতের সুন্দর স্মৃতি গুলোই মনে রাখতে হয়,নমিতা'
বাড়ি ফেরে সে,
হ্যাঁ, রূপালি আলো আজ দ্বিগুণ স্নিগ্ধ,
হালকা হাওয়ায়, তার আঁচল উড়তে থাকে।
সে আবিস্কার করে আর এক নমিতাকে,
যে শুধুই ভালোবাসে,
রাগ, ঘৃণাহীন, ভালোবাসার নমিতা।