একাকীত্ব আরো বেশি ঘিরে থাকে,
নমিতাকে।
আজকাল
বড় ক্লান্ত সে।
দশ দিন পর,
১০টা-৫ টার কাজে মস্তিষ্ক
শ্রান্ত করে যখন বাড়ি ফেরে,
চাঁদ তখন পূর্ব দিকে।
শরীর এলিয়ে দেয়,
বিছানায়।
বিভিন্ন ভাবনায়,
নমিতা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়।
জ্যোৎস্না তার মুখমন্ডল
অবলোকন করার জন্য
জানালা দিয়ে সন্তপর্ণে
ভেতরে ঢুকছে, ঠিক
সেই সময় বেজে ওঠে
রিংটোন।
অচেনা নম্বর।
ফোন তুলে বলে,
"হ্যালো,কে বলছেন?"
কথা আসে :"আমি সুহাস,
কাল আসবি, বিকেলে,
পুরোনো আড্ডায়?"
ইউনিভার্সিটির সেই হাসিমুখ,
মনে পড়ে নমিতার,
অজস্র কবিতার
মতো, সেই সুন্দর বিকেল গুলো।
মৃদু ভাবে জানায়,"আসব।"
ফোন কেটে যায়,
এক নাম না জানা আনন্দ
রূপালি আলোর নামে
তার জানালা দিয়ে আগে যে ভাবে আসতো,
আজ ও কি আসছে ঠিক সেভাবে?
ক্রমশ..