আমি হ’তেও তো পারি
চিনের পান-ক্যু,
পীর-পয়গম্বরের মতো
অভয় দিয়ে বলতে পারি
আমাকে নিংড়ে নিতে পারো-
আমি তো দিতেই এসেছি ।

আমার হাতের শক্ত পেশী
যদি তোমার সওদাগরী নৌকার
দাঁড় বাঁইতে পারে;
কেটে নাও নির্মমভাবে ।

তোমার  অন্তঃহীন যাত্রার
সওয়ার হতে পারে যদি ঐ পা দুটো
-নিয়ে নাও ।
নিঃশঙ্কোচে বলতে পারব
আমি অন্তঃত পঙ্গু নই ।

আমার ডি. এন. এ.
যদি তোমায় দিতে পারে
নুতন কোন শক্তির ঠিকানা
দেহ থেকে তুলে নিয়ো নির্ভয়ে ;
শরীরের উত্তাপ তবুও থাকবে ঠিক ।

আমার দৃষ্টি-
তোমায় বিলিয়ে দেব অকাতরে
যদি তুমি-
দেখতে পাও তাদেরকে
দিনের আলোতেও আগে যাদের
খুঁজে পেতে না ।

সঠিক ব্যবচ্ছেদ করে দেখো তো
হৃদ্ পিণ্ডটা জায়গা মতো ছিল কিনা;
যদি চাও-
আমার হৃদয় দিয়ে দিতে পারি তোমাকে;
না, কোনো ধার-বাকী নয়
-একদম এক্কেবারে ।

তবে কথা দেবে-
আমার বুকের আগুনে
পুড়িয়ে দেবে
দুনিয়ার তামাম মানুষের পরিচয় ।

নিঃশেষে, দিয়ে যাবো এই দেহ,
দেখো তো, আতস কাঁচ দিয়ে
তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাও কিনা
এইড্সের চেয়েও বীভৎস
কোনও রোগের ভাইরাস ।

       ***