অনুরোধের আসর, চিত্রহার আজ আর নেই
তবে কোথায় গেছে তারা?
ফেলে আসা স্মৃতির পথের বাঁকে
হয়তো বা ব্যস্ত দিনের শেষে ক্লান্তির একান্তে,
আছে তারা সবাই।
আমার ছেলের টাইপিং-স্কুলে
দুই বুড়ো আঙুলে টাইপিং শেখায় এখন।
টাইপ রাইটারের কম্পানিগুলো ধুকছে আজ।
পোস্টম্যান স্বপন কাকু আর পাড়ায় আসে না
এখন নাকি আর চিঠি লেখে না কেউ।
ক্যাসেট আর সিডি গুলো মিউজিয়ামে জায়গা করে নিয়েছে স্থায়ীভাবে।
গুগল স্যারের টিউশন আমার মেয়ের ছাত্রবন্ধু
কেনটাকি ফ্রায়েড চিকেন ছাড়া আমার ভাল লাগে না কিছুই
মায়ের হাতের মাংস-ভাত ভুলে গেছি অনেক আগেই।
রিমোট দিয়ে খেলতে ঘাম বেরোয় না আর
ডাং-গুলির নিয়ম এবং পরিশ্রম অনেক শক্ত লাগে।
সব কিছু বদলে যাচ্ছে প্রতিমুহুর্তে।
আমরা বদলে গেছি প্রতিমুহুর্তে।
প্রযুক্তির সাথে সভ্যতার সকাল বদলায়
গ্রীষ্মের আনচান করা দুপুরে আমার পুকুর পাড়ের
‘চোখ গেলো’ পাখিটা এখনও বদলায় না কেন?