জীবন-যুদ্ধ শেষ হলে ক্ষত বুকে ঘরে ফেরা প্রতিদিন।
আজও বুঝে উঠতে পারি নি
এ বাঁচা লড়াই’এর জন্য
নাকি এ লড়াই বাঁচার জন্য।
ছেলেবেলার প্রশ্ন শুধায় না আর কেউ
‘বড় হয়ে কি হতে চাও’
উত্তর আজ পেয়েছি, শোনে না কেউ।
‘ছেলেবেলায় ফিরে যেতে চাই’।
হাসার ইচ্ছা না থাকলেও বড় হয়ে হাসতে হয়
‘কেমন আছো’ জিঙ্গেস করলে
ভাল আছি তবু বলতে হয়।
জীবনের রঙ্গমঞ্চে নাটক সবাইকে করতেই হয়।
চন্দন কাঠ আর বারুদের প্রয়োজন হয় না আজ।
মানুষ মানুষকে দেখেই জ্বলতে থাকে।
খোঁজ চলে অবিরাম মঙ্গলে জীবন আছে কিনা
খোঁজে না কেউ একটিবার জীবনে মঙ্গল আছে তো।
ভিক্ষা দেওয়ার বেলায় থাকে না খুচরো আমার।
এক টাকা লাখ টাকা কখোনো হয় না
লাখটাকা থেকে একটাকা চলে গেলে
ভুলে যাই লাখ আর রয় না।
উপার্জিত অর্থে শুধু জীবনের প্রয়োজন পুরতি হয়।
স্বপ্নের পুরতি তো হয়েছিল মা-বাবার স্নেহার্থে।
পাপ ধুয়ে আসি প্রতিদিন ভগবানের পায়ে ফুল রেখে
শত পাপ ক’রে বসি ফুলেদের হত্যায়
অজান্তে আবারও।
পূণ্য চাই না আর। জীবনের কৃতদাসত্বের চাকরীতে
হিসাব নিয়ে ফিরে যেতে চাই এবার।
নিরন্তর যাত্রা করি প্রতিদিন
পৌঁছোতে পারি না কোথাও।
জীবনটা চলতে পারতো নিজের পায়ে!
তবু চলে নি...।
জানাযা তো উঠবে এবার অন্যের কাঁধে ভর করে।


(দিল্লির এক রেডিও চ্যানেলে অনেকদিন আগে একটা হিন্দী প্রোগাম শুনেছিলাম। তারই সারমর্ম এই কবিতায় ফোটাতে চাইলাম)