কেমনে যেন দেরি আজ হয়ে গেল মেয়েটার
অফিসের ব্যস্ততায় তাকায়নি দিকে ঘড়িটার।
ক্লান্তি জড়ানো পায়ে তাই পথ চলা একা
রাত বেশি নয় তবু রাস্তাটা যেন ফাঁকা।
হঠাৎ মনে হল করছে কি কেউ পিছু
তবে সাথে নেই মেয়েটির এমন দামী কিছু।
অটোস্ট্যান্ড সামনে ঐ একটু গেলেই আর
তবু শঙ্কা মনে আজ বিপদ হবে কি তার।
হঠাৎ এক পুরুষ গলা “চলো তোমায় ছেড়ে আসি”
তাকিয়ে দেখে কাজের সাথী ব’সে পাশাপাশি।
সাথী হয়ে কাজের বন্ধু চললো সাথে তার
শেষ রিক্সায় বসিয়ে ক’হে ভয় কোরো না আর।
বুকের মাঝে আর এক শঙ্কা চলছে অবিরাম
রিক্সাওয়ালা দেয় না কভু সভ্য নারীর দাম।
হঠাৎ শুধোয় রিক্সাওয়ালা “চুপটি কেন দিদি
পৌঁছে দেবো পাড়ার মুখে আমায় বলো যদি”।
রাত্রি এখন একটু বেশি ভাবছে সে যে তাই
রিক্সা থেকে নেমে দ্রুত বাড়ি পৌঁছে যাই।
আর একটু চললে সেথা বাড়ি পাড়ার শেষে
মাঝ-বয়সী বৃদ্ধ শুধোয় হঠাৎ সামনে এসে।
“রাতের বেলা ফিরছো কেমনে একা তুমি মা”
পড়শী কাকা পাশের বাড়ির আমায় চেনো না”
পৌঁছে দিল বৃদ্ধ তাকে সুরক্ষিত ঘরে
প্রশ্নের ঝড় উঠতে থাকে এখন মনের পরে।
ভয় পেয়ো না তাইবা হলে তুমি কেবল মেয়ে
পাশেই অনেক পুরুষ দেখো সবার পানে চেয়ে।