প্রতিদিন সকালে সাতটা চল্লিশের লোকাল।
কুরলা থেকে বান্দ্রা, বান্দ্রা থেকে চার্চগেট।
তারপর বাড়ি ফেরা স্ত্রী-সন্তানের কাছে
রাতের দশটা আঠাশে।
হাতের লেবু-লজেন্সের শিশিটা
আজও শেষ হয় নি এ ফেরিওয়ালার।
“বাবা আমার জন্য আজ কি এনেছো?”
ছেলের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে
রাতের গহীন আঁধারে হারিয়ে যায়
জন্মদিনে তার লাল-বেলুনের স্বপ্নের উপহার।
রোগাক্রান্ত স্ত্রীর ওষুধের পর
বেলুনের পয়সা বাঁচে না।
আরও একটা দিন পার হয়ে যায় নতুন স্বপ্নের আহ্বানে।
ফেরিওয়ালার লেবু-লজেন্সের শিশি...
রেলের কামরায় সহস্র ফোঁটা ঘাম...
আর একটা লাল বেলুনের স্বপ্ন...
তবে আজ সে কিনেছে তার সন্তানের আকাঙক্ষা
উর্ধ্বশ্বাসে বাড়ি ফেরা
রাতের দশটা আঠাশে।
হৃদয়ের টুকরো সন্তানের হাতে
একটা লাল বেলুনের উপহার।
ফেরিওয়ালার বাড়ি ফেরা হয় না।
বেলুনের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যায়
অভিশপ্ত রাতের মলিনতায়।
চলন্ত ট্রেনে ভিড়ের ধাক্কা...
পড়ে থাকে মৃত রক্তাক্ত ফেরিওয়ালা রেললাইনে।
বাতাসে উড়তে থাকে সুতোয় বাঁধা লাল বেলুনের স্বপ্ন।