তোমার কান বেঁধানো নেই, নাক বেঁধানো নেই।
বহুদিন আগে তুমি মন বিঁধিয়েছো
ঐশ্বর্যের আগুনে।
শৌর্যের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে
তোমার অহংকারী দেহের সব গহনা
খুলে ফেলেছো তুমি
প্রগতির অধিকারের দাবীতে
আপাদমস্তক পুরুষ হবে বলে।
পৃথিবী-সৃষ্টির ইতিহাস আমার জানা নেই।
বিধাতার সঙ্গে সাপলুডো খেলার নিয়ম
তুমিও শিখতে পারো নি।
মায়ের কাছে শিখেছি
পৃথিবীর সব ভালবাসার জন্ম তোমারই গর্ভ থেকে।
তোমারই প্রেমে সাগর উচ্ছ্বল। তোমার নারীত্বে ধরীত্রি চঞ্চল।
ঈশ্বরকে ভূলে এবার তুমি মানুষ চিনতে শেখো।
শুধু একটিবার ভুলে যেও না
তোমার পা থেকে নূপুরটা ছিঁড়ে ফেলা হয় নি আজও।
কেনো বোঝো না এ সমাজে এখনও তোমাদের জন্য
ওটা না ছেঁড়ার মতো করে তৈরী হয়।
তুমি কি জানো না নূপুরের আর এক নাম শৃঙ্খল...?
তুমি কি পারো না হতে শেষবারের মতো
একটিবার আমরন বিশৃঙ্খল...?