আমি বাঁচতে চাই, সুখ আর দুঃখেই বাঁচতে চাই,
আমি সবার সুখের জন্যেই বাচতে চাই।
আমি সুখে থাকা মানুষদের পাশে বইসা তাদের সুখের কথা শুনতে চাই,
আমি তাদের সুখে, নিজের সুখ ভাবতে চাই।
আমি দুঃখে থাকা মানুষদের পাশে বইসা তাদের কষ্টের কথা শুনতে চাই,
দুঃখ পাওয়া মানুষ গুলো কষ্ট বুঝে বইলা, আমার কষ্ট গুলো তাদের কইতে চাই।
আমি অসহায় মানুষদের স্রষ্টার সন্তুষ্টিতে সামর্থনুযায়ী খাওয়াতে চাই,
যারা হালকা ডাল ভাতেও সন্তুষ্ট থাকে আমি তাদের পাশে বইসা খাইতে চাই।
আমি চাকরি না পাওয়া ছেলেদের সাথে নিয়ে গর্ব নিয়ে ফসল ফলাইতে মাঠে নামতে চাই,
আমি নিন্দুকের কাছে লজ্জাহীন হয়েই ছোট ছোট কাজ কইরা মানুষের শান্তির ঘুমের কারণ হতে চাই।
আমি কাঁদায় গেড়ে যাওয়া গাড়িয়ালের গরুর গাড়ি ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিতে চাই,
ধনীর ছেলের সাথে, আমি গরীবের ছেলেরা এক বলে লাথি দিতে মাঠে যেতে চাই।
আমি শোষণকারির বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে চাই,
আমি নীতিবানদের সুনাম উচ্চকন্ঠে বলতে চাই।
আমি ব্যর্থ সপ্ন গুলো বিদায় দিয়ে নতুন আশায় বাঁচতে চাই,
আমি সুখের ভিতর দুঃখ নিয়াও বাঁচতে চাই।
কবি সুকান্তের এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, লেখাটি এ প্রজন্মদের বুঝাতে চাই,
আমি হাসিমুখে সবার প্রকাশ্যেই বাঁচতে চাই।
যতদিন হায়াত আছে, তত দিন বাঁচতে চাই,
আমি বাঁচতে চাই, সুখের ভিতর দুঃখ নিয়াও বাঁচতে চাই।
মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে কতো যে সপ্ন আসে মাথায়,
আহ , আমাদের এই ছোট্ট জীবনে চাওয়ার আর শেষ কোথায়?