সিগারেট
আব্দুল্লাহ আল সাদি
ছোট কাগজ দিয়ে মুড়ানো ভেতরে তামাক পাতা,
আজ আপনাদের বলতেছি সেই সিগারেটের কথা।
সিগারেটেরই আজ রাজত্ব, কই সেই বাপ দাদাদের আমলের হুকা,
সেই হুকারই নতুন প্রজন্ম এই সিগারেট খোকা।
এত ছোট্ট ছেলেটি এতই এতই ব্র্যান্ড বটে,
বিশ থেকে পঞ্চাশ বয়সী লোকের থাকে পকেটে।
তার অল্পচেনা প্রেমিক প্যাকেটে হাত দিয়ে বের করে সিগারেটটি,
দেশলাই এর সাথে এখনই পরিচয় তবু আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে ছোট্ট শরীরটি।
তবু তো দেশলাই এর দোষ নাই তাতে,
সিগারেট তো এসেছে, ঐ দুঃখী , আবেগি, ছেলেটির একটু কষ্টের ভাগ নিয়ে পাশে দাড়াতে।
যদিও সিগারেটের দিতে হয় নিজেকে বির্সজন,
তবু নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে আবেগী লোকটির দুঃখ কিছুটা করে অর্জন।
বেকার ছেলের মনে দুঃখ, হতাশা, পূরণ না হওয়া সপ্ন থাকে,
তাই তো সে নিরিবিলিতে সঙ্গ নিতে সিগারেটকে পকেটে রাখে।
খেলার মাঠের ঐ কোনায় কিছু বন্ধুরা সঙ্গ ধরে বড় ভাইদের দৃষ্টি অগোচর দিয়ে যায়,
একজনে আগুন ধরিয়ে দেয়, অন্যরা দু'একটা টান দিয়ে মজা পায়।
অদৃশ্য শয়তান অট্টহাসি হাসে, তারা শুনতে নাহি পায়,
মানুষ নিজেরাই আনন্দ নিয়ে আবেগী হয়ে পাপের সাগরে ভাসে, তারা বুজতে কেনো দায়।
কত মানুষ ফুসফুস ক্যান্সার নিয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালে, তাতে সিগারেট কী দায়ী নয়,
তবু মানুষ নির্ভয়ে সিগারেট টানছে কেনো পায়না ভয়।
আমি সিগারেট খাইনা বন্ধু, তাতে তোমারও নাই মাথা ব্যথা,
আজ সাচ্চা বলে যাই, মরণঘাতী সিগারেট খাবোনা বাবাকে দিয়েছি কথা।