সন্ধ্যার আকাশে সূর্যের শেষ আলো ,
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় দিগন্তে —
যেন একটি ঘাতক সন্ধ্যার আবরণে,
জীবনের সব দুঃখ গলে যাচ্ছে,
বরফের মতো যা ছিলো কঠিন,
একে বারে পাহাড়ের চূড়ায়, ঝেপে বসে ছিলো,
এবার তা গলে গলে
বয়ে চলেছে নদীর স্রোতে। নাম দিয়েছি "সুখের মিছিল"।
নদীটা যেন সময়ের মতোই চিরন্তন,
বয়ে নিয়ে যায় স্মৃতির ভার,
যেখানে সুখের মতোই দুঃখগুলো মিশে,
মিছিলের অদম্য প্রতিচ্ছবি আঁকে জীবনের তীরে।
বরফ গলে, গলে পড়ে জলে,
মিশে যায় নদীর স্রোতের সাথে,
যেন দুঃখগুলোও ধীরে ধীরে
সাতার কাটে সেই গভীরতায়।
আকাশটা লাল থেকে রঙ বদলায়,
ধীরে ধীরে কালো চাদরে মোড়া—
সন্ধ্যার বিশালতায় ঢেকে যায় সব,
তবুও সেই নদী,
বয়ে চলে সুখের মিছিলে,
মনের গভীর বেদনা নিয়ে।
সন্ধ্যার বাতাসে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা,
যেন দুঃখগুলো শেষবারের মতো বিদায় নিচ্ছে,
গলে যাচ্ছে সমস্ত কষ্ট,
গলে যাওয়া বরফের মতো,
নদীর স্রোতে ভেসে থাকে সব,
মিলে যায় অন্ধকারের গভীরে।
রাত গভীর হয়, নদীর স্রোত থামে না,
গলতে থাকা বরফের মতো—
গলতে থাকে সব ব্যথা,
মনের সকল চাপা বেদনা,
নদীর সাথে মিলিয়ে যায় সব,
যেন মুক্তি পায় সকল ভার—
এই অন্ধকারে,
এই শান্ত অপেক্ষায়,
একটি নতুন মিছিলের প্রতীক্ষায়।