কপালের ভাজ গাঢ় হয়,
চুলে ধূসর ছোঁয়া, চোখের রঙগুলো ফিকে হয়ে আসে।
তবু স্মৃতির বয়স আটকে থাকে,
শৈশবের উত্সব মাখানো দিনগুলোয়,
জলপাই গাছের নিচে বসা সেই বিকেলগুলোর মাঝখানে।
ভিজে রাস্তায় গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা,
অথবা জন্মদিনের অপেক্ষায় ঘড়ির কাঁটায় চোখ রাখার মুহূর্তগুলোয়।

যৌবনের প্রথম চুম্বন, মিষ্টি কথার সুর,
তারাভরা সন্ধ্যার নীচে প্রথম আলিঙ্গনের উষ্ণতা।
অভিমানের প্রথম ঝড়, মিলনের উজ্জ্বল হাসি—
সব স্মৃতিই আজও জীবন্ত, সেই একই রঙে রঙিন।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি আমার নিজের সামনে,
বৃদ্ধ আমি এবং যুবক আমি,
যুবক আমি হেসে লুটোপুটি খাই--- বৃদ্ধ আমাকে দেখে।

চোখ বুজলেই, ষোড়শীর সামনে নতজানু হয়ে দাঁড়াই,
অশীতিপর বৃদ্ধ আমি যেন এখনো সেই তারুণ্যের বন্দী।
স্মৃতির গোলাপেরা কখনো রং হারায় না,
হাসির মাতলামি থামে না কখনো.........
প্রেমিকার বয়স বাড়ে না,
শিশির ভেজা নুপুরের রিনঝিনে সে আজও
বসন্তের বাতাসে এলোচুলে কপাল ঢেকে রাখে।
তাকে ঘিরে ফুলেরা যেন আরও উজ্জ্বল,
তার চোখের তারায় এখনও জ্বলে
সেই ঘর পালানোর উন্মাদনা,
যেখানে বয়সের কোনো হিসেব নেই,
শুধু অনুভবের নিখুঁত এক আবেশ।

অশীতিপর আমি,
স্বপ্ন দেখি তার কপালের লাল টিপ নিয়ে,
তার চুড়ির শব্দে ভাঙে রাতের নির্জনতা,
ভীরু বসন্তের চোখে আজও আমি প্রতিক্ষণে প্রেমে পড়ি।
প্রতিদিন আমি ফিরে আসি,
ষোড়শীর প্রেমে পড়া সেই প্রথম আমি।