তুমি বড় অভিমানী,
সেই রাতে বড় বড় চোখে আয়নায় তাকিয়ে যখন আমাকে খুন করেছিলে,
এখনো মনে পড়ে—
তোমার শরীর বেয়ে আমি বড় হয়ে উঠি .........

সেইবার বইমেলায়,
হাসির যে চাবুক আমায় মেরেছিলে,
তা আজও শিরায় শিরায় ছুটে বেড়ায়।
প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি দৃষ্টিতে
এখনো  অলক্ষ্যে ঘুরে বেড়ায় ...

তুমি কি জানো?
শেষ কালবৈশাখীতে, যখন আমাকে ছুঁয়ে গেলে,
সেই ঘোরে আজও দিগন্ত পেরিয়ে আমি হারিয়ে যাই।
তোমার অভিমানী ঠোঁটের কোণে
জমে থাকা চুপচাপ কথারা,
আমার মাথার ভেতর হাজার কোটি ঝিঁঝিঁ পোকা হয়ে বাজতে থাকে।

তুমি বড্ড  অভিমানী,
তোমার অভিমানের চাদরে মোড়া
আমাদের সেই পুরোনো গল্পগুলো,
প্রজাপতি হয়ে শীতের ভোরে জুবুথুবু হয়ে রোদ পোহায়,
আমি জানি,
একবার ছুঁয়ে দিলেই সেই জমাট অভিমান গলে যাবে,
একটি নদী হয়ে দু’কূল ছাপিয়ে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

আমি জানি তোমার
অভিমানের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা
ভালোবাসার নদীটাও আমিই।
তাই অভিমানের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে,
তোমারই কাছে ফিরে আসি বারবার।