সন্ধ্যার বিষাদ গোধূলি আলোয়,
এত উজ্জ্বল এক একটি পায়চারি.
গভীর ছাপ রেখে যায়,
মায়াময় প্রতিটি প্রতিধ্বনির ।
বিশাল গাছের ডালের নিচে,
আমরা আমাদের গল্প শোনাই, শুধু আমি এবং তুমি
নদীর স্নিগ্ধ স্রোতের পাশে,
আমাদের হৃদয় ক্ষনিকের জন্য প্রজাপতি হয়ে নেচেছে।
মৃদু বাতাসে চুল উড়ে গেলে,
তুমি যেমন সহজে আগের জায়গায় ফেরত যেতে ,
আমি হয়ত ততটা সাবলীল ছিলাম না কোন সুরেলা গানে,
তবু মুগ্ধ ছিলাম নিজেদেরকে নিয়ে।
সন্ধ্যার সূর্য, সোনালি কুয়াশা,
আমাদের পথগুলিকে আলোকিত করে, সে যেন এক ধাঁধা।
কৃষ্ণচূড়ার নিচে ছায়াদের সাথে
আমাদের বেয়ারা হাসিগুলো স্মৃতি হয়ে দোলে।
স্বপ্ন এবং ভালোবাসায় আঁকা এক একটি ক্যানভাস জুড়ে
রাগ, অনুরাগ আর কোমল প্রতিবাদ।
নদীর ধারে, আমরা আমাদের ভয় ভাগ করে নিয়েছিলাম
একে অপরের নীরব চোখের জল মুছে দিয়ে।
পুরানো গল্পের ডালি নিয়ে ঝরা পাতাগুলি ফিসফিস করে ,
আমরা চিরকালের জন্য কয়েদি হিসাবে.
নাম লেখাই পাথরে, যেখানে মৃতদেহ শুয়ে ছিল,
আমরা দিনে দিনে এগিয়ে গেছি সেই গন্তব্যে।
শহরগুলির মধ্যে গোপনীয়তা বিনিময়,
স্বপ্ন এবং আশা হয়ে চিরকালের জন্য .
নদীটায় আমরা আমাদের প্রতিচ্ছবি আঁকি ,
আমরা তখন শপথ নিয়েছিলাম পুরাতন এবং নতুন।
আকাশের রঙ্গে সাজানো সন্ধ্যা,
তোমার হাসি, শাসন, আহা, সময় কেমন উড়ে যায়।
দিন চলে যায়, বছরের এক একটি সিম্ফনি হয়ে ,
আমরা তখন সত্যকে আলিঙ্গন করেছিলাম এবং কিছু চোখের জল ফেলেছিলাম।
গোধূলির নিচে, স্মৃতি জড়িয়ে আছে,
দুঃখের প্রতি ভালবাসা নিয়ে ...একটি অভিশাপ।
দেয়ালে আমাদের গান প্রতিধ্বনিত হয়,
মধুর অতীত, যেখানে আমরা দুজনেই আছি।
সময়ের করিডোর দিয়ে আমরা ঘুরে বেড়াই,
নদীর গোঙানি আর প্রজাপতিদের আরোহণ,
আমাদের অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত,
একটি চিরন্তন গন্তব্য, আমাদের স্বপ্ন বাড়ি।