এক সময় এই আকাশে
অনেক কিছু দেখতাম
পাখির ডানায় উড়ে উড়ে
দূর দূরান্তে ভেসে যেতাম
এই বুক একসময় ছন্দে ছন্দে
হাজারো স্বপ্ন বুনতো
সবার না দেখা কিছুর ভিতর
অনেক কিছু দেখতো।
ভোরের শিশিরে পা ভিজিয়ে
বহুদূরে হেঁটেছি আনমনে
অন্ধকারের ভয় ডিঙ্গিয়ে
মেতেছি পূজা পার্বণে।
অদম্য গতিতে ছুটেছি ফুটবল নিয়ে
মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তর
সময় কে পিছনে ফেলে
ছুটেছি দূর দূরান্তর।
কাঠবিড়ালির মত মেতেছি
বৃক্ষের এ ডাল থেকে ও ডাল।
সফলতার আকাঙ্খায় ছাড়িনি
জীবনের কোন হাল।
ঝড় বাদল দিনে গিয়েছি ছুটে
অসহায় মানুষের পাশে
উড়াইয়াছি ঘুড়ি স্বপ্নের মত
মৌসুমি বাতাসে।
এখন আমি ঐ নীল আকাশ কে
আকাশ দেখি
অন্য সকলে যা দেখে সবার থেকে
অনেক কম দেখি।
এখন এ শরীর,আকাশের পাখি দেখে
বাতাসে ভাসে না
এ মনের সকল রং গিয়েছে মুছে
তাই আর কিছু আঁকে না।
এখন রাত কে রাত মনে হয়
দিন কে দিন
একসময়ের প্রসস্থ বাহুতে
আজ শক্তি হীন।
দৃষ্টি আর দূর দূরান্তে ঘোরে না
কাছাকাছি দেখে
এসবের মধ্যে আর কিছু পাইনা
যা আছে তাই দেখে।
এক সময়ে উদ্যমে চলা শরীর
আর পারেনা সইতে ধকল
এখন চলার শক্তি নেই
লাঠি হয়েছে সম্বল।
এখন রাত হলে লাগে
ভিষণ ভয়
এই বুক ভরাট এখন শুধু
সংশয় আর সংশয়।