এই যে নদী বয়ে গেছে
হাজারো মাঠ প্রান্তর
বয়ে চলে দূরদূরান্তের
গ্রাম শহরের অন্তর।
পাহাড় থেকে আসে নেমে
যেন পাহাড়ি মেয়ে
সবাই যেন আছে বেঁচে
তাহার পানে চেয়ে।
চাষার ক্ষেতের ফসল ফলাতে
জোগায় সকল জল
কত মানুষ জোগায় অন্ন
আঁকড়ে নদীর কূল।
জেলের কাছে নদী যেন
ভগবানের আশীর্বাদ
জীবিকার তাগিদে ধরে মাছ
কাঁধে মিলিয়ে কাঁধ।
কত গ্রাম শহর ঘাট বন্দর
উঠেছে তার কূলে গড়ে
দূর দূরান্তে যায় যে মানুষ
নদীতে নৌকা চড়ে।

হঠাৎ করেই নদী আবার
হয় যে সর্বনাশী
ছিনিয়ে নেয়, দিয়েছে যা
কৃষকের হাসি খুশী।
দেবীর মত করে এতোকাল
পূজিছে তারে যারা
অভিশাপের মত তাদের
করে সর্ব হারা।
কেড়ে নেয় ঘরবাড়ি
মাঠের ফলানো শস্য
সবকিছু কেড়ে নিয়ে যে সে
করে দেয় নিঃস্ব।

আবার যেন নদী মাতা
জোগায় নতুন আশা
জাগায় কূলে নতুন ভূমি
বাঁচায় সকল চাষা।
একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে
লীলা বোঝা যে দায়
কখনও সে হয় সর্বনাশী
কখনও মমতাময়।
জল দিয়ে বাঁচায় নদী
সকল প্রাণী কূল
দেয় যে নদী মাঠের শস্য
বাগানের ফলমূল।
কখনও নদী জাগায় আশা
কখনও আবার ভয়
বড়োই অদ্ভুত এইযে নদী
যায়না বোঝা পরিচয়।