বসন্ত ঋতুর মত এসেছিলো
আমার এ ভুবনে
দখিনা বাতাসে আমোদিত
সুখে পরিপূর্ণ জীবনে।
কোকিলের কুহু কুহু ধ্বনিতে
আলোড়িত হয় যেমন ভুবন
অপরাজিতার প্রেমালাপে তেমনি
আলোড়িত ছিল এ জীবন।
আমার আকাশে সেদিন ও ছিল
কোটি নক্ষত্রের মেলা
পূর্নিমার রাতে জ্যোৎস্নার আকাশে
মেঘ চাঁদ করছিল খেলা।
পদ্ম দীঘিতে যেমন রাজহংস যুগল
খেলা করে
আমি আর অপরাজিতা তেমনি
মেতেছিলাম এই ধরনীর পরে।
কত স্বপ্ন কত কত আশা আর
আর কত না কি ছিলো
ছিলো ভালোবাসায় পরিপূর্ণ
বাড়ছিল ইচ্ছা গুলো।
কত রাগ কত অভিমান কত হাসি
অনুরাগের ছলছল আঁখি
দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে বিভোর হয়ে
দেখাদেখি।
ফুটন্ত গোলাপের গাছ দিয়ে যেমন
আঙ্গিনা সাজিয়ে রাখে
রং তুলি দিয়ে যেমন ক্যানভাসে
কল্প চিত্র আঁকে।
তেমনি অপরাজিতা সাজিয়ে ছিল
মনের প্রতিটি স্তর
আমার জীবনে খোলা বিকেলে কাটানো
প্রতিটি প্রহর।
শহরের কোলাহল ছিল আমাদের হতে
বহুদূরে
আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত ভেসে যেতাম
অপরাজিতার সুরে।
মিষ্টি কন্ঠে অনুরাগের ভাষা শুনতে শুনতে
কেটে যেত বেলা
তবু যেন থেমে যেত না ওর চুলে ডুবে থাকা
আমার আঙ্গুলের খেলা।
পৃথিবীর কেউ জানিনি কিভাবে হঠাৎ করে
অন্য ভুবনে হারিয়ে গেলেম?
কিভাবে রুপকথার আকাশে মেঘের ভেলায়
ভাসিয়ে নিলো অপরাজিতার প্রেম?