স্বতঃস্ফূর্তে এখনো আমি ভুলের গ্লাসে চোখ রেখে
ভোরের কলি হতে চারপাশের ফুলেল মিত্র দেখি।
সেজন্যই হয়তো আত্মার পূর্ণিমারাত জ্বলেনি
আজো ভাউন্ডুলের পরিক্রমার সুস্বাগত ক্ষণে।
তবু অশ্রুতে মুঠোহীন সামুদ্রিক গোধূলি
ভুরি ভুরি বৈচিত্রে দীপ্ত গন্ধে স্মৃতির কূলে
ঝিনুকে ঠাসা রাখে প্রান্তের অপার কাজল।
সেসব যেনো সেই বাসন্তীপূজায় আঁকা
কয়টি সাবলীল ঘুড়ির শতেক ব্যাখ্যা!
আলো ডুবা মেঘের পাতা নাড়া ডাকে
মায়াময়ী মাটিতেই ফাগুন বুক,
নিমিষেই ভ্রমনের ঐচ্ছিক নৌকা।
কোন প্রতিজ্ঞা ছিলো না তখনো এখনো
ছিলো অপ্রতিরোধ্য সহজাত বিশ্বাস
তুমি আমার দৈনন্দিনের ও অনন্ত হাসি।
ব্যাপক উৎসর্গে কথা থেকে কথামালা টেনে
অগুণিত চায়ের কুঁড়ির মতো মেলেছি সুপ্ত বাগান।
কোনো ইচ্ছেতেই য্যানো মেঘ বসত চোখটি
চন্দ্রমুখির দুয়ার হতে ফিরে না,নিজ ঘাটে।
এতো প্রয়াসে আকুতির তীরবতী আসনে
স্নেহার বাতাসে উপনীত হবেই আগমনী
দারুণ প্রীতির, বন্দনায় ঘেরা পাটাতনে।

রচনাকাল-১৬-০৮-২০১৫।