একটানা বৃষ্টি শেষে যেটুকুু আলো জ্বলেছে
ছন্দহীন বুকে,সেই প্রদীপের রেখা-
নির্ভুল কাগজে ফোঁটে আছে চাঁদমুখে।
ভেবেছি কাঁঠাল কাঠের নৌকোয় চড়ে
ভরা নদীতে নীল হলুদের পাল ওড়াবো।
যাতে মৌসুম সুবাসে তোমার দুয়োরে
আমার এই স্মৃতিখানা মৃদু প্রভাবে
যেনো ভরাডুবি হয় প্রত্যহ বিনিদ্র সুরে।
স্থির দেয়ালের মতন অর্হনিশ দাঁড়িয়ে
অপলক ভালোবাসা গোধূলির প্রেরণায়
সবুজ কলাপাতায় অবিরল সন্ধ্যাতারা
প্রচ্ছদকাহিনী হয়ে ভাসবে অভিলাষে।
একাকিত্বের বৃদ্ধ প্রকাশ-
দীর্ঘপথ ধূলোর প্রাঙ্গন থেকে নিশ্চল আকাশে
শালিকের ডানা ছুঁয়ে এঁকেছে প্রতীক্ষার আকার!
অবিকল দুটি আষাঢ়ে ভাঙা সাঁকোর অঙ্গের মতন।
চঞ্চলা, যদিও প্রাণের ভেতর-
সহস্র দিনের রুদ্ধ কল্পনা ঢেঢ়
তবে তোমারি প্রবন্ধাবলী নব-প্রাচীন প্রান্তরে
আমি আপ্লুতে স্পর্শ করি অঝোরে।
কতো সংকটের কবলে জর্জেট কথামালা
দূরত্বের প্রতীবাদ জানায় অচিন পুরে।
কেবল ঝর্নার হিম স্রোতে নিশ্চুপ পাহাড়ে
চোখদুটো ঝাপসা আয়নায় ক্রমে ক্রমে ঝরছে।
রচনাকাল-২০-০৬-২০১৫।