অবিরত বয়ে যাওয়া স্রোতাস্বিনীর স্রোত
আর আমার বয়ে যাওয়া অঙ্কিত প্রহর
সম্যক ছুঁই ছুঁই অতল পাথারের সৈকত!
ফুঁস করে ফনা তুলে ফেরারী কষ্টরা!
আমাকে নীল বিষে রাঙিয়ে দেয়
উত্তাল সাগরের মাতাল উর্মির নেশায়
বিভোর আক্রোশ নানান ছলে
বুকের মধ্যে চেপে ধরে নির্দ্ধিধায়।
আমার অশান্ত বুকে প্রশান্ত সাগর
বেদনার নীল জলে সিক্ত অশ্রু
দুঃখের তীব্রতায় সুখের আড়ি!
শূন্যতায় ক্ষুর্দাত স্বপ্নের রাশি।
তুমার লৌহকোপাটে আমার অবরুদ্ধ মন!
আর কতকাল অনাচারে কুঁচিয়ে করবে দগ্ধ?
এমনিতেই জ্বলে পুড়ে বিভীবিষাকাময় প্রান!
দুর্বোধ্য ফাঁদের কবলে হয়েছি তীরবিদ্ধ।
র্নিমমতায় ছন্নছারা আমার অনুভূতি
অনাথের হাহাকারে পাড়ি জমায়!
পেটপুড়া ললাটে দিনের নিহিত
শুভাহীন জীবন চৈত্তের প্রখর আলোয়
শুকিয়ে থাকা একটি কঙ্কালের কায়া।
কেউ ধারে ভিড়েনা শরীরে পঁচা গন্ধ
কেউ বা আবার লুটে নেয় হাড্ডিগুড্ডি!
কি উদ্ভুত এই দুনিয়া নানারকম বাঁচার ফঁন্দি!
স্বার্থ পুড়োলেই র্নিবিকারে কাঁদায় বড্ড।
আমিও তাদেরই দলের একজন!
বিষাদে পুড়ে অকালে হয়েছি জলাঞ্জলি।
রচনাকাল-০৬/০৩/২০১৪ বিকেল-৫.৪০মিনিট।