একটি ছুটে যাওয়া মনের পায়ে বেড়ি পরানোর মতো সুকঠিন কাজ আর কি হতে পারে বলতে পারো??
শীত দুপুরের রোদ দেখলেই মায়াবী কপাটটি খুলে দে ছুট।
এরপর জলে স্থলে অন্তরীক্ষে কোথায় খুঁজি তাকে বল দেখি!! তার তো নেই রাত্রি নেই দিন।
স্তবকিত সবুজ পাতার আড়ালেও থাকতে পারে,আবার ঐ মজা নদীর পাড়ে বসে ঝরা বিকেলের কাছে গিয়ে আবদার করতে পারে,”আমার একটি সন্ধ্যাতারা চাই এক্ষুনি।
ধার নেব তার থেকে মেদুর আলোর মেধা।সেই তোষক আলোয় রাত-বিরেত হোক বা দিন-দুপুর,জুটে যাবে আত্মপ্রত্যয়ের নিটোল অহম্।”একথা বলা তার পক্ষে কিছুই অসসম্ভ নয় জেনো।
গাছতলার দুপুরবেলাও ভারী প্রিয় তার।হাওয়ার ছড়ে যে স্বর্গীয় সুর ভাসে তাই শুনে আনন্দরসিক মন ফড়িঙের পাখায় ভর করে আবর্তে উন্মাদ হয়।
সাত পাড়া কাঁপিয়ে হাসে রৌদ্রের কৌতুকে।সোনালি আমোদে দেয় করতালি।
পুরনো পাড়ায় ঘোরে টো-টো করে।হাঁস,দিঘি,স্বচ্ছ সরোবর,ইঁদারার জল,ছোট তালপাখার সাথে দেখা করে,ভালোবাসা আছে বলে।
অবচেতনের বৃক্ষে যে থোপা থোপা ফুল ফোটে তাই দিয়ে গাঁথে মালা।প্রেম জাগে হয়তো নয়নপল্লবে!!
কিভাবে সামলাবো গতিবিধি তার।অতীতে হারিয়ে যায়,বর্তমানে দাঁড়ায় না সুস্থির,ভবিষ্যতের বাগান সাজায়।ভাবনাগুলোকে সার সার সাজিয়ে বানায় একটি স্বপ্নলেপা মাটির বাসা।ভূদৃশ্য তার এমন যে চেয়ে দেখে পূর্ণিমার চাঁদ।
খুঁজতে যাই না তাকে আর অভ্যাসবশে।বলেছি যা,পালিয়ে যা ইচ্ছের সুদূরে।দেব না বাধা,পরাবো না বেড়ি হারিয়ে যাবি বলে এই শীতের কুয়াশায় ঐ শ্রাবণের জলতরঙ্গে।
বোঝাপড়া হল তার সাথে শর্তহীন,এইমাত্র।
আমার বসতবাটীর ঠান্ডা অন্ধকারে...ঘুমিয়ে পড়ার আগে।