রাতদুপুরের চাঁদের আলো,তুমি বড্ড গায়ে-পড়া।
আমি কি বলেছি তোমাকে আমার বিষাদ জানালার ওপারে স্থির হয়ে বোসো।
অনেক রূপকথা বয়ে বেড়াও জানি।কিন্তু কাকে শোনাবে সেসব বলো দেখি আজ??
আমি এখন জেগে থাকি বিনা কৌতুহলে।
আমার আকাশ দেখার এতবড় জানালাটায় অভিমানের পর্দা ঝোলে।যদি ভাবো সিঁধ কেটে ঢুকবে মনের ঘরে তবে দেখবে সারিবদ্ধ প্রেমের কবিতাদের পাথর দেহ।
সৌন্দর্য ছেড়ে চলে গেছে বহুকাল!!সময়ের শাসন ভয়ানক রুক্ষ!!
অপরিণত ছেলেমানুষিরা পরিণত হয়েছে ভালোবাসার প্রত্যাখ্যানের চিঠি পেয়ে।একাকীত্বের সমাহারে নিজের ছায়াটিকে নিয়ে বেঁচে থাকা শুধু।
ভীষণ কঠিন কিছুর ছোঁয়ায়,ভীষণ শীতল কিছুর স্পর্শে থমকে গিয়েও থামেনা জীবন।এখনো চলেছে পরীক্ষা।নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হচ্ছি,তবুও যেন ক্লান্তি নেই।
জানি,তুমি আমার ভেঙে যাওয়া মনের হিতৈষী।আমার ভারী বঞ্চনার অংশীদার হতে চাও।
কিন্তু পুর্ণেন্দু,তোমার উপুড় করা আলোর ঢেউয়ে ঝুপঝাপ স্নান সেরে নেওয়ার মতো পাগলামি আমার আর আসে না যে!!
দরজাগুলো ভেতর থেকে বন্ধ।
আমি বলি কি,তাদের খোলার চেষ্টা কোরনা এখন।
যেদিন জীবনটাকে সহজ বহন-যোগ্য মনে হবে,রজত শুভ্র রোদ উঠবে মনগাঁয়ে,নীল দিগন্তে লাগবে ফুলের আগুন সেদিন এসো তুমি।তোমাকে আমার মনের মালিকানা দেবো কাগজে কলমে।
আমার ছেঁড়া স্বপ্ন,ছিন্ন কবিতাদের একটু সময় দাও,তোমার উৎসাহের সাথে যেন তাল মেলাতে পারে তারা।
এখনো এই ‘আমি’টার কথায় কথায় চোখে জল আসে বিরাট দুপুরে।
এখনো প্রশ্বাসে প্রশ্বাসে আমার সাতজন্মের ভালোবাসার গন্ধ পাই!!