অনেকদিনের এক কথা।
স্তিমিত ভীত পড়ে আছে পাঁজরের আড়ালে।বুকের ভেতর প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে শ্যাওলা ধরল বুঝি!!
মাঝে মধ্যে ভাবি তাকে ভাদ্রের খটখটে রোদ্দুরে ধুয়ে নেব।দেওয়া হয় না শুধু নিয়ন্ত্রণহীন সংশয়ে পড়ে।
প্রবহমান সময় অপেক্ষার ধার ধারে না,সূযোগ আসে না দুবার।
তবুও পুষে রেখেছি আকাঙ্খার মৃণালটিকে এই নিয়ন আলোর নকল মহিমাতলে।
কি জানি কেমন শোনাবে বললে! শুধু দ্বিধারা জন্ম নেয় হৃৎপিন্ডের ধুকপুকে রোজ।
আমি কি পারবো তোমার মুখে আমার প্রত্যাশিত অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে??
এই শহুরে ধূর্ত হাওয়ায় কি কদর থাকবে তার??
সে যে আমার অনুভবের সুতোয় গাঁথা রতনহার!! যার অস্তিত্ব শুধুই আমার চোখের তারার চতুর্দিকে।আমার স্বপ্নঘরের অন্যতমা
আদুরী আশা!!
কোষে কোষে এক যন্ত্রনার ছুঁচ ফোঁটে।
আমার আকাঙ্খার মায়ামুখে কুয়াশা ঢেকে যাবে না তো?? তোমার অনুৎসাহী মুখের ফ্যাকাশে রঙটা আমি যদি সইতে না পারি।
যদি বলো,এ এক নির্বুদ্ধিতা,বোকামি আমাকে গ্রাস করেছে,তাহলে ফনীমনসায় ঢেকে যাবে আমার বাসনার শরীর।
অন্ধকারের কলকলানিতে চিরঘুমে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না তার।
এখন আয়ু তার তোমার নিয়ন্ত্রণে।
আজ বাজি রেখে মনের কাছে,মুখোমুখি বলব তোমাকে আমার বিবক্ষু আশার কথা!!
এসেছে সেই দিন।এমন নম্র মুহুর্ত ফুটেছে বহুদিন পর।সমস্ত লুকোচুরি শেষ করে আকাশে,মেঘে,বাতাসে,ফুলে,শ্যামলে
প্রাণান্ত প্রয়াসে রটিয়ে দেব সে কথা।
স্তব্ধ মধ্যরাতে,অন্তহীন পাইনের ফাঁকে আমাকে পাহাড়ী জ্যোৎস্না দেখাবে..একটিবার!!