একজন আবৃত্তিকার আপন করতলে খোঁজে কবিতাকে দিনরাত।
চোখের সামনে দেখতে চায় বইয়ের একান্ত হৃদয় ভাঁজে শব্দের হাসিকান্নার ছন্দকে।
কবিতার আবেগকে স্পর্শ করার যাবতীয় দায় যে তাঁরই!! কবিতারা তাই দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে পরম নিশ্চিন্তে সহচরী হয় তাঁর।
কাব্যের সাথে গল্পগাছায় জীবনের আয়ত পথ হাঁটা যেন এক শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া আরামে।
হৃদয়ের বাগিচায় রঙ ছড়িয়ে ফুল হয়ে ফুটে থাকে কবিতারা।মায়ার ছায়াচ্ছন্ন গলিতে অভিমানী তারা খুব।ভালোবাসায় জড়িয়ে পরস্পর!! বাড়িয়ে দিয়ে আশার বাহু,কবিতা বলে,’নাও আমাকে!!’
তারা পাগল হয় কোমল স্বরের মধুরসে স্নান সেরে নিতে।
নিজেই নিজেকে তুলে দেয় আত্মজনের হাতে।আবদার করে,’আমার এই সাদামাটা গড়নটিকে তোমার কন্ঠস্বরের মরমিয়া কারুকাজে সাজাও দেখি!!
বিশ্বাস করো,আমি সুন্দরী নই।কিন্তু জানি তোমার কন্ঠের বিচ্ছুরিত ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আমাকে বঞ্চিত করবে না সে স্বাদ পেতে।
আমি সেজে উঠবো আপাদমস্তক অলংকারে।
তোমার স্বরধ্বনির রুমঝুম..গৌরবের অনিঃশেষ খনি এক।মরুভূমিতে আনতে পারে বর্ষার মেঘ দারুণ নিদাঘে।তৈরী করতে পারে উচ্ছ্বল ঝর্ণার শব্দ।
সুষ্ঠু উচ্চারণের মহিমান্বিত প্রতিফলনে সেজে উঠবে আমার সাবেকি বর্ণমালারা।
পংক্তিগুলি শ্রেষ্ঠ আশ্রয় পেয়ে অভিভূত হয়ে
বলবে,এভাবেই চিরকাল এক লতানে প্রাণ হয়ে থেকে যাবো তোমাকে জড়িয়ে।অনন্য বাঁচার প্রেরণা আমি তোমার কাছেই তো পাই!!
মনের সাথে মিলে যায় মন!!সৃষ্টি হয় কবিতার নিখুঁত ভাস্কর্য।
কবিতাকে দুফোঁটা প্রাণ দিতে কবি মেলে ধরে তাঁর খাতাখানি তোমার সন্মুখে ভরসায়।
তোমার সপ্রতিভ আলো পড়ে কাব্যের মুখে,কবিতা হয়ে ওঠে যেন আনন্দী জ্যোৎস্না।
এ ভাবেই পেয়ে যায় অমরত্ব এক কাব্য ও এক শিল্পী..পৃথিবীর মনে।