আমরা বহুরঙের জামা পড়েছিলাম ;
বহুসুরের গান বেধেছিলাম ;
বহুকথার চাঁদর বুনেছিলাম সত্য ;
ভেবেছিলাম নিজেদেরও বহুরকম।
তথাপি যখন সকল-কিছুই ভাঙলো
নিজে থেকেই অথবা কোনো-তাড়নায়;
দেখা গেলো রঙ সবই এক।
আগুনের মতো ধব-ধব সাদা ;
অথবা কখনো কেবলই অভাব-বোধ।
ওই যেমন সারগাম এর সপ্ত-যোগ ;
আর কথার মূলে সব বর্ণমালা ;
আর তাদের অর্থ-বিয়োগ।
তথাপি ওরা সকলই বর্ণমালা ;
তাই অন্যত্র হলেও এক।
যাওয়ার রাস্তা হয়তো অনেক হবে ;
তবে সবকিছুই পথ
সবাই ঠিকানা চাইছে৷
"ঠিকানা"-শব্দটাকে কতভাবে দেখতে পারো?
-দেখে যাও, দেখে যেয়ো শেষ-অব্দি।
আমার গলার কন্ঠস্বর সকালে ভারী ;
ভর-দুপুরে গরম আর সন্ধ্যায় কতকটা কোমল।
তবুও দিনশেষে তারা কন্ঠস্বরই থাকে।
যেমনটা তুমি-তোমরা অন্যত্র হয়েও
যে ছবি রেখে যাও ;
জীবন্ত নও সত্য!
তবুও আছো বলেই -ছবি'টা বাঁচে।
পাওয়া হয়ে যায়;
ঠিক কথার মতো৷
ডুবু-জলে জলের খবর
না রাখলেও চলে।
তার নাম জানি বৈচিত্র ;
তবুও জীবন বইছে ;
বয়ে চলবে অন্যত্র।
একবার পেয়ে গেছি বলে দেখো?
বোকা বানাবে তোমায়! অবশেষে।