কিভাবে জেনেছো জীবন-গোপনে জুড়ে আছে কতো
কালো-জল
চোখের মণিতে সে কালোকে করেছো কেন্দ্র অথচ
আনন্দ-বিহ্বল
নিবিড় ছোঁয়া ঐ মেতেছো নৃত্যালয়ে দিতে সজ্ঞা
আসমুদ্র হিল্লোল
তুমি সবুজ-রঙ্গিনী আসীন আকাশ-হেমাঙ্গিনী এ
জীবন কলরোল
নীলা হয়েও নীল করোনি প্রতিভাত; বিকশিত
করেছো পুষ্প-টোল
তোমার মাঝেই দেখেছি হিমাচল; সারদ-সরোবর
যতো তাল-বোল
সিতার যদি হয় শরীর ওগো; সুর-সঙ্গতি তুমি
ধুন-কাওয়ালি গোল
তুমি বিকেলের শেষগান হও;সন্ধ্যায় ম্রিয়মান যেন
সেই নরম রোল
রজনীর বন্ধন।
আমি তোমায় চাইনা পেতে স্পর্শে, পারমিতা তুমি ওগো সুলোচনা-স্মিতা।
কেবল মধুবাণী শুনে যাই তব যেমন শুনে বারই আকাশ-সম সে নিভৃতা।
এভাবে জীবন কিছু না পেয়েও পায় সব, নাম লিখে না পাখির কলরব।
তাই আমি তুচ্ছ অযোগ্য দীন জীবন-বিমুখ; দুরত্বে তব পাই অমিয়-সুখ।
কাছে যেতে নেই জানে গো সবাই; ওই যে চন্দ্র-আভা দুরেই যে পায় সব!
কাছে এলে দেখতে পাবো রক্ত-মাংস, নশ্বর সব জড়বাদের অপভ্রংশ তাই
তাই দূরে দূরে যতো যেতে পারি আরো তোমার; মিতালি তত স্নিগ্ধ খুব-ডুব
নীপবন-মন্দন।