দূর থেকে যতটা কঠিন,
কাছে এলে তারও কঠিন তুমি
ঠিক যেনো এসএসসি'র সবচে'
সহজ প্রশ্নটির মতো।
যেমনটা খুব সহজ বলেই হাতছাড়া হয়ে যায়!
তেমনই অপ্রকাশিত তুমিটাকে ঘিরে
সব কঠিন প্রশ্নের প্রিপারেশান নিলেও,
সহজটাকে আর সহজভাবে নেয়া গেলো না।
এইরকম বলেই,
তুমি শব্দের অপর নাম ভ্রম।
তুমি শব্দের অপর নাম মরীচিকা ;
তুমি শব্দের অপর নাম করুণ-হারমোনিকা।
তুমি? শব্দের অপর নাম প্রশ্নবোধিকা।
চিরকাল অধরা অথচ মোহনীয় বাঁশির ন্যায়
এক বায়বীয় টানে বেধে রাখা।
আর আমি ধুরছাই মরুভূমির ন্যায়
ভিতরে সকল সাগর রেখেও জলশুন্য
তাড়নাবিহীন, অথচ প্রতিচী পাগল-প্রায়
কি এক নাটকীয় স্পর্শ পা'বার আশায়
অনিমিখ দু-একটা জীবন জলাঞ্জলি দেয়া যায়,
ভুলে যাওয়া এই অঙ্কটায় কতসূত্র মুখস্থ ছিলো,
মনের এই মাধুরী যদি অঙ্ক করা'টা জানতো!
তবে মানিক-রবীন্দ্রনাথ কিংবা জীবনানন্দ'রা
দিব্যি ইঞ্জিনিয়ার বনে যেতো।
উন্নয়নে আর কি পিছিয়ে থাকতো এই ভারত-চিত্ত?
খুব সহজ অঙ্কটা জটিল করাটাই কি জীবন-বোধ?
আশ্চর্য এই, জীবন নামক বোধিবৃক্ষের নীচে বসেও
টের পাচ্ছি না, অঙ্কটা সত্যিই কত সহজ ছিলো,
জন্ম-মৃত্যু এই দুইতো হাতে ছিলোই শুরু থেকে
কেবল আরো একটা দুই ধরা যেতো,
আহা! দুইয়ে-দুইয়ে চার ; জীবনানন্দ এসপার-ওসপার।
একটা তুমি এসে দুইকে এক করার তোড়জোড়,
দুইকে আলাদা থাকতে দেয়া চাই।
না হয় এই ব্রহ্মাণ্ডের শুন্যতা ধরা দেবে না।
চির-অপূর্ণ থেকে যেতো
খুব সহজ অথচ জটিল
তুমি নামের আরেক পিঠ
জীবনাঙ্ক।